লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি
প্রিয় বন্ধুগণ আপনি কি লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন, তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন আমরা আজকের পোস্টটিতে আলোচনা করব লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি সম্বন্ধে, সুতরাং আপনি যদি জেনে না থাকেন লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি সম্বন্ধে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সুচি পত্র ঃ লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি
- ভূমিকা
- লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
- প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি
- ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
- মধু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
- পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায়
- লেবু কি কি কাজ করে
- লেবু বেশি খেলে কি ক্ষতি হতে পারে
- লেখক এর কথা
ভূমিকা
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
যারা শরীরে অতিরিক্ত ওজনের জন্য চিন্তিত, অনেকে খাবার কমিয়ে দেন খাবারের লিস্ট থেকে অনেক খাবার বাদ দিয়ে দেন কিন্তু আপনি কি জানেন হাতের কাছে সব সময় পাওয়া যায় এমন একটি খাবার দিয়ে আপনি আপনার শরীর এর ওজন কমাতে পারবেন।
চলুন তাহলে জেনে নেই লেবু দিয়ে কিভাবে ওজন কমানো যায়।
সাধারণত আমরা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই গরম গরম চা অথবা কফি খেতে সবাই পছন্দ করি, কিন্তু আমরা বিষয়টা জানিনা যে চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম গরম চা অথবা কফি খেলে শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে আপনি দিনের শুরু করতে পারেন এক গ্লাস লেবু পানি দিয়ে, ওজন কমাতে অনেকের কাছেই পরিচিত ও জনপ্রিয় পদ্ধতি সকালে খালি পেটে লেবু পানি পান করা।
আপনি যদি কখনো ভারি খাবার খেয়ে ফেলেন যেমন চর্বি জাতীয় খাবার খান, তাহলে
খাবার পর একটি লেবুর অর্ধেক খোসা সহ চিবিয়ে খাবেন, আমরা জানি লেবুতে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে তাই আমরা যদি চর্বি জাতীয় খাবার খায় পাকস্থলীতে
চর্বি জাতীয় খাবারের যে ফ্যাটটা জমা হয় ওটা লেবুতে জলদি কেটে দেয়।
আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত খাবার খেলে কি হয় বেশি খেয়ে ফেললে কি করা উচিত
লেবুর রস মিশানো পানি বা লেবু পানি স্বাদে ও গুনে শরবত হিসেবে চমৎকার একটি
পানীয়, এটি পাকস্থলী ও অন্ত্রের অন্যান্য অংশ ত্বরান্বিত করে,গ্যাস্ট্রিকের
সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে, আপনি দুপুরে বা যে কোন সময়
ভারী খাবার খাওয়ার পর এক গ্লাস লেবু পানি খেয়ে নিতে পারেন সেটাতে
আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং শরীরটাও ভালো রাখবে।
লেবুর রসে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফলেট, ও পটাশিয়াম যা আমাদের শরীরের
নানাভাবে উপকার করে,যেমন হজম শক্তি বাড়ায়, ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে,
ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা রোধ করে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কম হয়,
রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে,আয়রন শরীরে শোষিত হতে সাহায্য করে, এছাড়াও লেবুর
খসাই এর রসের চেয়েও তিনগুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে, এবং প্রচুর পরিমাণে
সাইট্রিক এসিড রয়েছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে সাইট্রিক এসিড কিডনির পাথর
প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী একটি জিনিস।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে লেবুর পানি অবশ্যই আমাদের শরীরের জন্য উপকারী লেবুর পানি আসলে আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে পাশাপাশি ত্বকের জন্য দারুন উপকারি একটি জিনিস, লেবু পানিতে বা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা ত্বকের শুষ্ক ভাব ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া এবং রোদে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি থেকে অনেক সেইভ করে।
প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি
সাধারণত আমরা ওজন কমানোর জন্য সারাদিন নানান রকম দুশ্চিন্তায় থাকি জিমে গিয়ে কাটায় এবং খাওয়া বন্ধ করে দেই , তবে অতিরিক্ত কম পরিমাণে খাবার খাওয়াও কিন্তু স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে পড়ে শারীরিক দুর্বলতা হওয়া সহ নানান রকম শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বিভিন্ন সময়, তাই প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে আপনি শরীরের ওজন কমাবেন সেই বিষয়ে আজকে আলোচনা করব।
অতিরিক্ত ওজন মানুষের শরীরের বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট করে , তাই আপনার
শারীরিক লুক আরো সুন্দর এবং স্মার্ট করতে স্লিম ফিগার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তাই
নিজেকে আরও স্মার্ট ও সুদর্শন করতে শরীরে ওজন কমিয়ে ফেলার
বিকল্প নেই।
আরো পড়ুনঃ ডিপ্রেশন কেন হয় ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
খাবার বাছাইঃ
আপনি যদি চিন্তা করে থাকেন আপনার শরীরের ওজন বেশি তাই আপনি ওজন কমানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সর্বোত্তম আপনাকে অবশ্যই খাবার দিকে নজর দিতে হবে, অতিরিক্ত ফ্যাট খাবার পরিহার করতে হবে শুকনো রুটি খেতে পারেন নিয়মিত চর্বি কমাতে সাহায্য করতে পারে আপনি নিয়মিত শসা খেতে পারেন , এবং আপনি মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং ফাস্টফুড পরিহার করুন।
নিয়মিত পানি পান করুনঃ
মূলত খাবারের চাহিদা কমানোর জন্য এবং ক্ষুধা নিবারণের জন্য শারীরিক সুস্থ তাই অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা কমানোর জন্য বেশি বেশি পানি পান করুন নিয়মিত।
নিয়মিত হাঁটাচলা করুনঃ
ওজন কমানোর জন্য হাঁটাচলার বিকল্প নাই এই উপায় এক সকালে ঘুম থেকে উঠে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটাচলা করলে আপনার দেহের ১৬০ ক্যালোরি পর্যন্ত খরচ হতে পারে , আসতে আসতে চেষ্টা করবেন যত দ্রুত সম্ভব হাঁটতে থাকার যত বেশি দ্রুত হাঁটতে পারবেন তত বেশি আপনার জন্য ভালো।
সিঁড়ি দিয়ে বেশি বেশি ওঠানামা করুনঃ
বিশেষজ্ঞদের মতে যারা প্রতিদিন সিঁড়ি দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ওঠানামা করে তারা অন্যদের তুলনায় দ্রুত ওজন কমাতে সক্ষম হয়। সিঁড়িতে উঠানামা করার ফলে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত কালোরি খরচ হতে পারে যা কিনা আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
চিনি থেকে দূরে থাকুনঃ
চিনি এক এমন এক ধরনের উপাদান যা আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে, তাই বিশেষ উপায় হিসেবে আপনি স্বাস্থ্য বাড়ানোর রোধে চিনি কে বর্জন করুন।
ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
ব্যায়াম না করে বা জিমে না গিয়ে ও ওজন কমানো সম্ভব , একটানা কাজ করার পর
শরীরের জমে থাকা চর্বি কমানোর সময় নেই, সময়ের অভাবে ব্যায়ামও করতে পারছেন না
আবার বিভিন্ন কারণে ডায়েট করা হচ্ছে না তাহলে কি মোটাই থেকে যেতে হবে একদমই না
ব্যায়াম ছাড়াও ওজন কমানো সম্ভব
ওজন কমাতে সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন আপনি যদি জিমে না গিয়ে
ওজন কমাতে চান তাহলে এই পদ্ধতি আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে। ওজন কমানোর কথা
ভাবলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত , পানিতে রয়েছে জিরো ক্যালরি তাই পানি
পান করলে খুব তাড়াতাড়ি ক্ষুধা লাগে না তাই পানি পান করা হলে অতিরিক্ত খাওয়া
থেকে বিরত থাকা সম্ভব হয়।
আরো পড়ুনঃ দুপুরে ঘুমালে কি ক্ষতি হয় দুপুরে খাবার পর ঘুমানো উচিত
ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর জন্য গরম পানি আপনাকে ভালো ফল দিতে পারে ,
এটা ফ্যাটকে নির্মূল করতে প্রতিদিন সকালে উঠে অল্প গরম পানি খেতে পারেন , গরম
পানি খাওয়া এমনিতেই শরীরের জন্য অনেক উপকারী গরম পানি শুধু অতিরিক চর্বি নয়
পেটের সমস্যা দূর করতেও অত্যন্ত উপকারী একটি জিনিস।
ব্যায়ামের কাজটি প্রতিদিন কাজের মধ্যে সারতে পারেন অনেকভাবে কাজটি করা যায়
দুপুরে খাওয়ার পর রেস্টুরেন্ট এ ঝিমানও বন্ধ করুন সিঁড়ি বেয়ে উঠুন হাটার
অভ্যাস করুন, এটি আপনার শরীরের ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী।
অনেকেই হালকা পাতলা খাবার খেতে গিয়ে এটা সেটা খেতে থাকেন কিন্তু এতে আসলেই দীর্ঘ মেয়াদে কোন সফলতা মেলে না কিন্তু আবার স্বাভাবিক খাবার শুরু করলে ওজন বেড়ে যায় । তাই এটা সেটা বা বাইরের খাবার খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আরো পড়ুনঃ চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি কত চোখের দৃষ্টিসীমা কত কিলোমিটার
মধু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
মধু এবং পরিষধিতো চিনি উভয়ে চিনি থাকে তবে তাদের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে মধুতে উপকারী ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে , মধু ফ্লুকটোজ সমৃদ্ধ যা আপনার মস্তিষ্ককে ফ্যাট বার্নিং হরমোন তৈরি করতে দেয় , অতএব ওজন কমানোর জন্য মধু দিয়ে চিনি প্রতিস্থাপন করা বুদ্ধিমানের কাজ ডেজার্ট সিরাপ চা এবং অন্যান্য মিষ্টি খাবারের প্রাকৃতিক বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে মধু।
ওজন কমানোর জন্য মধু এবং দারুচিনিঃ
এক কাপ গ্রিন টিতে এক টেবিল চামচ এবং দারুচিনি একের হাফ টেবিল চামচ ব্যবহার আপনার শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং আপনাকে পুরো শক্তিশালী করে তোলে এটি আপনাকে ঘনঘন খাওয়া রোধ করতেও সহায়তা করে সুতরাং ওজন কমানোর জন্য মধু কার্যকরী একটি পন্থা ।
লেবু ও মধু একসঙ্গে খাওয়াঃ
ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপাদান হচ্ছে লেবু ও মধুর মিশ্রণ এ মিশ্রণটি পরিপাকের উন্নতি ঘটায় ও শরীর থেকে বিশুদ্ধ বাহির করে দেয় এক চা চামচ তাজালেবুর রসের সাথে সামান্য মতো মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন এটি আপনার ওজন রাশ করতে সাহায্য করবে।
গোলাপের পাপড়ি ও মধুর মিশ্রণঃ
গোলাপের পাপড়ি ও মধুর মিশ্রণ ওজন কমাতে সাহায্য করে এজন্য আপনাকে যা করতে হবে কিছু গোলাপের পাপড়ি পানিতে ফুটিয়ে নিন যা তৈরি করার জন্য তারপর গোলাপের চা উষ্ণ থাকা অবস্থাতেই এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন প্রতিদিন, এটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
পানি খেয়ে ওজন কমানোর উপায়
বিশেষজ্ঞদের মতে সকালের নাস্তা করার 25 থেকে 30 মিনিট আগে যদি নিয়মিত ৫০০ এম
এল পানি পান করেন তাহলে সহজেই আপনার ওজন কমানো সম্ভব হবে এছাড়াও দুপুরে বা
রাতে ভারি খাবার খাওয়ার আগে যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেয়ে নেন তাহলে
ওজন অনেকটাই কমানো সম্ভব।
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব, দিনে 8 থেকে 10 ক্লাস
পানি পান এর ফলে আপনার অন্যান্য খাদ্য গ্রহণে চাহিদা তুলনামূলকভাবে কমে যায়
কালরি সমৃদ্ধ খাবার বা ভারি খাবার খাওয়ার ঝোঁক ও অনেকটাই কমে আসে, আপনি
প্রতিবার খাবার খাওয়ার,দের বা দুই ঘন্টা আগে যদি ৫০০ মিলি লিটার পানি পান করেন
তাহলে সেটা আপনার ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী একটি উপায় হবে।
পানি শারীরিক আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।খাওয়ার আগে পানি পান করলে শরীর
কম ক্যালরি গ্রহণ করে বিশেষ করে ভারী খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে
যায়।
ক্যালোরি সমৃদ্ধ পানিও এড়িয়ে চলুন কোমল পানি ও সোডা এড়িয়ে চলুন, এর বদলে
আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এছাড়াও কফি চা বাদ দিন চিনি আছে এমন
পানিও বাদ দিন এগুলোর বদলে বেশি করে পানি পান করুন এটা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য
করবে।
ব্যায়াম করার আগে ও পরে পানি পান করুন এতে আপনার শরীর ভালোভাবে আদ্রতা বজায় রাখবে এটি শরীরের জন্য অনেক ভালো এবং আপনার ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
লেবু কি কি কাজ করে
আমরা জানি লেবু একটি টক জাতীয় ফল এবং অত্যন্ত গুণাবলী সম্পূর্ণ একটি জনপ্রিয় ফল। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, এছাড়াও লেবুর বাইরের অংশ তে ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
লেবুর রক্তচাপ দুশ্চিন্তা কমায়ঃ
লেবু খেলে বা লেবু পানি খেলে শরীরে এক ধরনের প্রশান্তির কাজ করে ফলে এটা আপনাকে দুশ্চিন্তা হতে মুক্ত রাখবে, লেবু শুধু দুশচিন্তা কমানর মাধ্যমে সীমাবদ্ধ থাকেনা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে লেবু অনেক উপকারী ভূমিকা পালন করে।
লিভার সুস্থ রাখে এবং হজমে সাহায্য করেঃ
লেবুর পানি লিভার থাকা পরিপাকতন্ত্র গুলো সক্রিয় করে তোলে , ফলে খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে লেবু শরীরের অক্সিজেনের পরিবহনের মাত্রা ও বাড়িয়ে দেয়।
মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে লেবুঃ
বাজারে বিভিন্ন রকমের লেবু পাওয়া যায় কাগজি লেবু বাতাবি লেবু কমলা লেবু ইত্যাদি ১০০ গ্রাম কাগজি বা পাতাবি লেবু থেকে যে পুষ্টি পাওয়া যায় ভিটামিন সি ৬৩ মিলিগ্রাম যা আপেলের ৩২ গুণ আঙ্গুরের দ্বিগুণ।
রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে লেবুঃ
লেবুতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে স্কার্ভি রোগ থেকে রক্ষা করে ভিটামিন সি দেহের ক্ষত নিরাময় এ সহায়তা করে এবং রক্তের জমাট বাধার ক্ষমতা বাড়ায় লেবু দেহের ক্যান্সার সহ নানা ঘাত প্রতিঘাত এর হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
লেবু বেশি খেলে কি ক্ষতি হতে পারে
বুক জ্বালাপোড়া এবং বমি হতে পারেঃ
লেবু বেশি খেলে পেট খারাপ হতে পারে যদিও লেবু পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী, কিন্তু খুব বেশি লেবু খেলে পেটে এসিড রিফ্লেক্স এর মত সমস্যা হতে পারে, এই সমস্যাটা লেবুর মত এসিডিক খাবার থেকে শুরু হয় এর কারণে বুকে জ্বালা পোড়া বমি বমি ভাব এমনকি আপনার বমিও হতে পারে ।
দাঁতের ক্ষতি হয়ঃ
অতিরিক্ত পরিমাণে লেবু খেলে আপনার দাঁত খারাপ হতে পারে, আমেরিকান একটি ডেন্টাল এসোসিয়েশনের মতে লেবুতে খুব বেশি এসিডিক থাকে তাই অতিরিক্ত পরিমাণে লেবু খেলে দাতের সংস্পর্শে আসার ফলে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায় , তাই অতিরিক্ত লেবু খেলে তা দাঁত খারাপ হওয়ার সম্ভবনা থাকবে।
উৎসেচক ভেঙে যায়ঃ
খালি পেটে অতিরিক্ত লেবু খেলে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচক পেপসিন ভেঙে যায়,পেপসিন আমাদের হজমে সাহায্য করে মূলত প্রোটিন হজম করায়,এদিকে লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক এসিড পেপসিনকে ভেঙ্গে ক্ষতিকর এনজাইম তৈরি করে যে কোন এসিড সমৃদ্ধ ফল খেলে এই সম্ভাবনা থাকে।
শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়ঃ
অত্যধিক হারে লেবু পানি পান করার ফলে শরীরে জল শূন্যতা এবং ঘনঘন প্রসবের সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে লেবুর রসে থাকা এসকরবিক অ্যাসিড মূত্র-বর্ধক ঘনঘন মুএ উৎপাদন বৃদ্ধি করে এই এসিড।
পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাঃ
অতিরিক্ত লেবু খেলে পেট ফাঁপা এবং গেস্ট্রইনটেস্টাইনাল সমস্যা ও দেখা দিতে পারে, লেবু এবং অন্যান্য সাইট্রাস ফলে এসিড রিফ্লেক্স হতে পারে যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে তাদের জন্য অতিরিক্ত লেবু পানি পান করা ক্ষতিকারক।
লেখক এর কথা
প্রিয় পাঠক আজ আমরা উপরের আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিত জানতে পারলাম লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায় প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি সম্বন্ধে, আপনি যদি এই বিষয়ে জেনে না থাকেন তাহলে অবশ্যই উপরের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আপনি আপনার প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর পেয়ে যাবেন এমন আরো তথ্যবহুল পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ।