এইডস কেন হয় এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি
এইডস কেন হয় এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি বর্তমান সময়ে প্রায়শই আমাদের আশেপাশে এইচআইভি রোগের খবর পাওয়া যায় এই রোগটি মরণব্যাধি রোগ হিসেবেও পরিচিত এবং এইডস কেন হয় এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি বর্তমান সময়ে এই বিষয়টি জানা অত্যন্ত জরুরী ,আমরা অনেকে রোগটিকে ছোঁয়াচে হিসেবেও মনে করি, এইচআইভি এইডস রোগটি সর্বপ্রথম আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর রাজধানী তে এই রোগটি সংক্রমণ ঘটায়।
এইডস কেন হয় এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি , বর্তমানে স্বাস্থ্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলোর একটি ।মূলত রোগটি অসাবধানতা ও অবাধ এবং অতিরিক্ত যৌন মিলনের ফলে হয়ে থাকে । তবে আগে থেকেই সাবধান এবং ঠিকমতো নিয়ম মেনে চললে এই রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব
পোস্ট সূচীপত্রঃ এইডস কেন হয় এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি
- ভূমিকা
- এইডস কেন হয়
- এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি
- এইডস এর উৎপত্তি
- এইডস কিভাবে ছড়ায়
- এইডস এর প্রতিকার
- এইডস কেন হয় এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি শেষ কথা
ভূমিকা
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে পৃথিবীতে সবচাইতে দ্রুত বিস্তার করা ভয়ংকর স্বাস্থ্যগত সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এইচআইভি এইডস। আমরা অনেক সময় এইচ আই ভি এইডসের নাম শুনলে ভয় পেয়ে যায় বা এইডস এইচআইভি এইডস রোগী থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। তবে এই মরণব্যাধি রোগটি প্রতিরোধ ও সম্ভব। আমরা আজকে আপনাদের জানাবো এইডস কেন হয় এইডআ হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি এইডস এর কারণ এবং এর প্রতিরোধ সম্বন্ধে বিস্তারিত, তাই মনোযোগ সহকারে নিচের পুরো পোস্টটি পড়ুন
এইডস কেন হয় এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি
এইডস কেন হয়
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে পৃথিবীর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সাস্থ্যগত সমস্যা গুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে এইডস । এই মারাত্মক ভয়ংকর মরণব্যাধির জন্য দায়ী এইচআইভি [HIV] ভাইরাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ এইচআইভি এইডস রোগে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন সারা বিশ্বে গড়ে এইচআইভি এইডস এ আক্রান্ত হচ্ছে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ।
আরো পড়ুনঃ অটিজম কেন হয় অটিজমের লক্ষণ গুলো কি কি
এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার কোটি মানুষ এই প্রাণঘাতী রোগ এইচ আই ভি এইডস এ মারা গেছে। এইচ আইভি হওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক অন্যতম , এছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে এইচআইভি এইডস রোগ হওয়ার জন্য , হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বা এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায় , এই রোগটি কেবলমাত্র মানুষের রক্ত এবং দেহের বিভিন্ন রগ এ বেঁচে থাকে।
এইচআইভি এইডস হওয়ার কিছু কারণ নিম্নে তুলে ধরা হলো
- গর্ভবতীর ও এইডস হতে পারে। একজন গর্ভবতীর যদি জটিল কোন অসুখে আক্রান্ত হন সেই থেকে গর্ভবতীর ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানের এইডস হতে পারে
- কাউকে রক্ত দিলে এইডস হতে পারে। আপনি কাউকে রক্ত দান করতে গেলে অবশ্যই শরীরে এইডস আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে রক্ত দিতে হবে
- আপনি বিয়ে করার আগে অবশ্যই উভয়ের শরীরে এইডস পরীক্ষা করে নিন, কেননা আপনাদের উভয়ের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস থাকতে পারে এবং যৌন সম্পর্ক করার ফলে সহজেই একে অপরের শরীরে ভাইরাসটি প্রবেশ করতে পারে
- আপনি কোন কিছুর জন্য ইনজেকশন নিতে গেলে অবশ্যই নতুন সিরিঞ্জ এবং নতুন সুই ব্যবহার করবেন
- ঝুঁকিপূর্ণ যৌন জীবন যারা পেশাদার যৌনকর্মী তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের প্রভাব বেশি দেখা গেছে অস্বাভাবিক এবং অসাবধানতার কারণে যৌনকর্মীদের এইডস বেশি হয়ে থাকে
- ব্যবহার করা সুই এবং সিরিঞ্জ থেকে। কোন এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীর শরীরে ব্যবহার করা সুই থেকে এইডস হতে পারে
এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি
এইচ আই ভি এইডস রোগটি আমাদের সমাজে অতি দ্রুত বিস্তারকারী রোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম । এইচআইভি এইডস এর লক্ষণগুলো বা সিমটম গুলো বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন রকম হতে পারে আপনি যদি অতিরিক্ত যৌন মিলনে আসক্ত হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি মনে হয় আপনার এইডস হয়েছে তাহলে আপনার জরুরিভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
নিম্নে এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি তা তুলে ধরা হলো
আরো পড়ুনঃ ডিপ্রেশন কেন হয় ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
- এইচআইভি এইডস এর প্রথম লক্ষণ যেটি সেটি হচ্ছে জ্বর, এবং জ্বর এর সাথে ক্লান্তি গলা খুসখুশি পেট ফুলে যাওয়া গলা ব্যথা ইত্যাদি ও দেখা দিবে। এবং আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেবে
- এইচআইভি এইডস এর দ্বিতীয় লক্ষণটি হচ্ছে এটাই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া এবং মাথাব্যথা, আপনি যদি এইডসে আক্রান্ত হন তাহলে আপনার ক্লান্তি ভাব অলসতা অনীহা এবং শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি এগুলোও দেখা দিবে
- পেটের পাকস্থলী ফুলে যাওয়া, আপনি এইডসে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই বুঝতে পারবেন আপনার পাকস্থলীর সমস্যা হচ্ছে আপনার হজম শক্তি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে এই ভাইরাসটি
- বমি হওয়া, এইডস মানুষের হজম শক্তির উপরে ব্যাপকভাবে বিস্তার করে যার জন্য ঘন ঘন বমি হওয়া পেট খারাপ হওয়া ইত্যাদি এগুলো দেখা দিবে
- রক্তের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত করে , এইডসে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের রক্তের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে এই ভাইরাসটি যার কারণে আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হতে পারে
- ডায়রিয়া হওয়া, এইডস এ আক্রান্ত ব্যক্তির ঘন ঘন ডায়রিয়া পেটের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিবে
- শরীরে চুলকানি বা ঘা বেরোতে পারে, এইচ আই ভি এইডস এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে চুলকানি হতে পারে এবং ছোট ছোট ঘা পুরো শরীর জুড়ে দেখা দিতে পারে
- গলা ব্যথা গলা ফুলে যাওয়া, এই যে আক্রান্ত রোগীদের গলা ব্যথা গলা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি দেখা যাবে
- প্রচন্ড কাশি হওয়া, এইচআইভি এইডসে আক্রান্ত রোগীদের প্রচন্ড পরিমাণে কাশি হবে প্রচন্ড কাশি হবে এবং যেটা শুকনো কাশি।
এইডস এর উৎপত্তি
আমাদের বর্তমান সমাজে এইডস রোগীদের কে হেই প্রতিপন্ন করা হয় ,বেশিরভাগ কারণে যৌন মিলনের সময় অসাবধানতার কারণ এ এই রোগটি ছড়িয়ে থাকে ভূমিষ্ঠ হওয়া বাচ্চারও এইডস হতে পারে কয় এক ধরনের ক্যান্সার থেকে ও এইচআইভি এইডস হতে পারে এইচ আই ভি এইচ সর্বপ্রথম শনাক্ত করা হয় আফ্রিকা মহাদেশে অবস্থিত কঙ্গো দেশ, সেই কঙ্গো দেশ এর রাজধানী কিন সাসাতে ১৯২০ সালে এইচআইভি রোগটির সংক্রমণ ঘটে।
আরো পড়ুনঃ মুখের ভেতরে ঘা কি কারনে হয় ঘা দূর করার ঘরোয়া উপায়
আফ্রিকা মহাদেশের দেশ কঙ্গোতে ১৯০৮ থেকে ১৯৬০ সাল এই সময়ের মধ্যে কঙ্গোর রাজধানী কিন সাসাতে প্রায় প্রত্যেকটি বছর ৮ থেকে ১০ লক্ষ যাতায়াত করত এবং তাদের অস্বাস্থ্যকর এবং অসাবধান কর যৌন জীবনের জন্য প্রথম এইচআইভির সংক্রমণ হয় সেখানে।
এবং এই রোগটি ছড়ানোর আরো একটি কারণ ধরা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একই সিরিঞ্জ এবং সুই বার বার বিভিন্ন জনের শরীরে ব্যবহার করার কারণে এই এইচআইভি এইডস রোগটি অনেক হারে বৃদ্ধি পায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক দল ১৯৮১ সালে প্রথম এই রোগটি শনাক্ত করতে সক্ষম হয় তিন বছর পর ফ্রান্স এর একদল গবেষক ১৯৮৬ সালে ভাইরাসটির নামকরণ করেন এইচআইভি ভাইরাস।
এইডস কিভাবে ছড়ায়
এইচআইভি এইডস একটি প্রাণঘাতী রোগ চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে এই রোগটি ছড়ানোর বিশেষ কয়েকটি কারণ রয়েছে, এইডস কেন হয় এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি এই বিষয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত জানলাম। এইডস কিভাবে ছড়ায় কয়েকটি বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো
- অতিরিক্ত যৌন মিলন এর ফলে এইডস ছড়াতে পারে যৌন মিলনের সময় অসাবধানতার কারণে এইডস ছড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যৌনকর্মীদের ক্ষেত্রে বেশি এইডস ধরা পড়ে
- যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে, নারী পুরুষ যৌন মিলনের মাধ্যমে ও এইডস ছড়ায় দুজনের কারো একজনের যদি এইডস থেকে থাকে তাহলে আর একজনের শরীরে এই ভাইরাস সংক্রমণ করবে
- কনডম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে অনেক সময় কনডম ফেটে গিয়ে ও এইচআইভি এইডস এর সংক্রমণ হতে পারে
- ব্যবহৃত ইনজেকশন এর সিরিঞ্জ থেকে ও এইচআইভি সংক্রমণ করতে পারে তাই ইনজেকশন নেওয়ার সময় অবশ্যই নতুন সিরিঞ্জ ব্যবহার করুন
- গর্ভবতীর সন্তানের ও এইচআইভি এইডস হতে পারে। যদি গর্ভবতী মায়ের এইডস হয়ে থাকে তাহলে ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানেরও এইডস হতে পারে
- এইডসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মুখের লালা থেকে ও এই এইচ আই ভি এইচ ভাইরাস টি ছড়াতে পারে
- এইচআইভি এইডস আক্রান্ত ব্যাক্তিদের দেহের ব্যবহার করা সিরিঞ্জ অথবা সুই থেকে ও এইডসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে
এইডস এর প্রতিকার
এইচআইভি এইডস হচ্ছে একটি মারাত্মক মরণব্যাধি। উপরের আর্টিকেল পরে আমরা জানতে পেরেছি এইডস কেন হয় এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি এই বিষয়ে এখন আমরা এইডসের প্রতিকার এর উপায় কি এ বিষয়ে নিচে জানব
আরো পড়ুনঃ শরীর সুস্থ রাখার উপায় কি মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
- এইচ আই ভি এইডস প্রতিরোধের প্রধান উপায় হচ্ছে ঘন ঘন যৌন সম্পর্ক অবাধ এবং অবৈধ যৌন মিলন হতে থাকতে হবে
- নিরাপদ এবং সাবধানতার সাথে নিয়মিত কনডম ব্যবহার করে যৌন মিলন করলে এইচআইভি এইডস এর সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়
- ইনজেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ নিলে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশেই বেড়ে যায় তাই ইনজেকশন এর মাধ্যমে ট্রাক নেওয়া বন্ধ করতে হবে সর্বোপরি ড্রাগ বা মাদক হতে বিরত থাকতে হবে
- এইচআইভি এইডস স প্রতিরোধের আরেকটি কার্যকরী উপায় হচ্ছে সচেতনতা আবৃত্তি করতে হবে এইচআইভি সমন্ধে সঠিক ধারণা প্রদান করতে হবে মানুষের মধ্যে তাহলে সেটা প্রতিরোধ করা অনেকাংশেই সহজ হবে
- ধর্মীয় নীতি মেনে চলতে হবে প্রতিরোধে অন্যতম একটি কারণ হতে পারে যৌন মিলনের ক্ষেত্রে ইসলামিক সামাজিক এবং ধর্মীয় নীতি ও মেনে চলতে হবে তাহলে অবৈধ মেলামেশা হতে দূরে থাকা যাবে যার কারণে এইচআইভি সংক্রমনের আশঙ্কা কমে যাবে
- শরীরে ইনজেকশন নেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সিরিঞ্জ যেন নতুন হয় পুরনো বা ব্যবহার করা সিরিজ থেকে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে
এইডস কেন হয় এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজ আমরা উপরের আর্টিকেলটি থেকে জানতে পেরেছি এইডস কেন হয় এইডস হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি এইডস এর উৎপত্তি এবং এইডসের প্রতিরোধ এর বিষয়ে বিস্তারিত। এইডস একটি মারাত্মক রোগ হলেও এই রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও রয়েছে আপনি কিছু নিয়ম ঠিকমত এবং সাবধানতার সাথে মেনে চললে এইডস সংক্রমণ অনেক অংশেই কমানো সম্ভব। আশা করছি উপরের আর্টিকেলটি থেকে আপনি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এরকম আরো তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েব সাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ