দান করার ফজিলত কি কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত
দান করার ফজিলত কি কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত ,দান করাই অনেক ফজিলত রয়েছে প্রকাশ্যে দান করুন এবং গোপনে দান করুন দুইটি দানে অনেক ফজিলত রয়েছে ,দান করার ফজিলত কি কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত এর ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন তোমরা এমন ভাবে দান করো যেন ডান হাত দিয়ে দান করলে বাম হাত ও টের না পাই।
দান করার ফজিলত কি কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকে আমরা , দান করার ফজিলত কি কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত অনেকগুণ বেশি দানকারীকে আল্লাহ তায়ালা অনেক ভালোবাসেন, দানকারী কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বড় বড় বিপদ-আপদ বড় দুর্ঘটনা এবং বড় বড় রোগ বালাই এবং মুসিবত থেকে রক্ষা করেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ দান করার ফজিলত কি কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত
- দান করার ফজিলত কি
- কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত
- মসজিদে দান করার ফজিলত
- মাদ্রাসায় দান করার ফজিলত
- গোপনে দান করার ফজিলত
- লেখকের কথা
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল টি তে দান করার ফজিলত কি কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত মসজিদে দান করার ফজিলত মাদ্রাসায় দান করার ফজিলত এবং প্রকাশ্যে ও গোপনে দান করার ফজিলত সম্বন্ধে, আপনি কোথাও দান করতে চান অথচ জানেন না কিভাবে দান করলে সহজে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যাবে চিন্তা করবেন না আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে আপনি কোন পন্থায় দান করলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন সেই ব্যাপারে বিস্তারিত।
নিচে আপনি সর্বপ্রথম দান করার ফজিলত কি কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত কি কি এই বিষয়ে আপনি একটি সূচিপত্র দেখতে পাবেন সূচিপত্রের মধ্যে আপনি যেই প্রশ্নের উত্তরটি খুঁজছেন সেই প্রশ্নে ক্লিক করলে সরাসরি আপনাকে সেখানে নিয়ে যাবে এবং আপনি খুব সহজেই আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি আপনি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনার কাঙ্খিত উত্তর পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
দান করার ফজিলত কি কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত
দান করার ফজিলত
ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে দান করা ,অনেক ফজিলত রয়েছে দান করায়, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আপনার অর্জিত সম্পদ এর কিছু অংশ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা বা দান করা আপনার আশেপাশের গরীব দুঃখী কে দান করা ইত্যাদিতে অনেক ফজিলত রয়েছে তাই প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই সাধ্যমত দান করতে হবে। দানকারী ব্যক্তিদের উপরে মহান আল্লাহ তাআলা খুবই খুশি হন। ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দানকারী ব্যক্তিকে খুব ভালোবাসেন দানকারী ব্যক্তিদের বিপদ আপদ বালা মুসিবত থেকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রক্ষা করেন দানকারী ব্যক্তিদের আল্লাহ ধন-সম্পদ বাড়িয়ে দেন। প্রকাশ্যে দান করলে অনেক ফজিলত রয়েছে আল্লাহ অনেক খুশি হন আর যদি আপনি গোপনে দান করেন সেটাতে আরো বেশি ফজিলত রয়েছে , গোপনে দান করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আপনার বড় বড় পাপ গুলো ক্ষমা করে দিবেন।
প্রকৃতভাবে দান করলে আপনি আল্লাহর তাআলার কাছে অনেক পুরস্কার পাবেন , দানকারী ব্যক্তিদের আল্লাহ তা'আলা বড় বড় বিপদ-আপদ ,অ্যাক্সিডেন্ট,দুশ্চিন্তা জটিল রোগ থেকে মুক্তি দেন, ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই চেষ্টা করব আমাদের সাধ্যমত দান করার।
কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত
দান করা ইসলাম ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত,দান করাই অনেক ফজিলত রয়েছে, দান করার কথাটি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোরআন শরীফে ৮২ বার উল্লেখ করেছে্ন, হাদিস শরীফে বর্ণিত রয়েছে এমনভাবে দান করতে হবে ডান হাতে দান করলে বাম হাত ও যেন বুঝতে না পারে, দানকারীকে আল্লাহ রব্বুল আলামীন ইহকালীন পরকালীন অনেক ফজিলত দান করবেন, আল্লাহ তাআলা দানকারীর গৌরব ও সম্মান সামাজিক মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।
আরো পড়ুনঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
আল্লাহ পাক বলেছেন দান করতে হবে ইজ্জত এবং সম্মানের মাধ্যমে, দান গ্রহীতার কাছে দান পৌঁছে দিতে হবে পবিত্র মনে, দান করার ক্ষেত্রেআত্মীয়-স্বজন পাড়া প্রতিবেশী কে সর্বপ্রথম অগ্রাধিকার দিতে হবে, যেমন ধরুন আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে ভাই বোন বিবাহিত সূত্রের আত্মীয়-স্বজন শ্বশুর শাশুড়ির ও অগ্রাধিকার রয়েছে নানান কারণে বিভিন্ন সময় উপহার দেওয়া সুন্ন্ত।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন তোমরা যদি গোপনে দান করো এবং তোমার আশেপাশে অভাবীদের দান করো তোমাদের জন্য সেটা অতি উত্তম , আর তোমরা যদি দান প্রকাশ্যে কর তবে তা ও উত্তম । এর মাধ্যমে আল্লাহর রাব্বুল আলামিন তোমাদের খারাপ কাজগুলো খারাপ পাপগুলো মাফ করে দেবেন এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সব সময় অবগত আছেন তোমরা যা কর। দানকারীকে দান করে কটাক্ষ করতে হয় না এতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার ফজিলত নষ্ট করে দেবেন।
মসজিদে দান করার ফজিলত
মুসলিমদের জন্য মসজিদ হচ্ছে একটি পবিত্র স্থান এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে কাছে পাওয়ার সবচেয়ে বড় স্থান, মসজিদে যাতায়াতকারী মুমিনগণকে আল্লাহ তা'আলা অনেক ভালোবাসেন রাসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেছেন আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় স্থানটি হচ্ছে মসজিদ এবং সবচাইতে অপ্রিয় স্থানটি হচ্ছে বাজার, মসজিদে দান করার বহু ফজিলত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ [সাঃ] হিজরতের প্রথম দিন মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন
মদিনা হিজরতের সময় রাসূলুল্লাহ [সাঃ] কুবা নাম ক স্থানে যাত্রা বিরতি করেন এবং তিনি সেখানে প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন। হিজরতের দ্বিতীয় দিন রাসূলুল্লাহ [সাঃ] মদিনায় পৌঁছান এবং সেখানে মসজিদ ই নববী স্থাপন করেন। পবিত্র হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে আল্লাহ তালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য যে ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণ করবে আল্লাহ তা'আলা তাঁর জন্য জান্নাতে একটি সুন্দর ঘর তৈরি করে দেবেন সুবহানাল্লাহ,।
মসজিদ নির্মাণ ফজিলত আল্লাহর রাব্বুল আলামীন সারা জীবন দান করবেন এমনকি মরার পরেও দান করবেন, দানকৃত মসজিদে যতদিন পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করবেন মুসল্লিরা ততদিন পর্যন্ত দানকারি এর পেতে থাকবেন। মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি মসজিদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে ও দান করা যায় যেমন কোন কিছু মেরামত করা বা সংস্কার করার সময় , মসজিদের ফ্যান এর ব্যবস্থা করে দেয়া এবং মুসল্লিদের নামাজ পড়ার সুবিধার্থে বিভিন্ন রকম ভাবে দান করলে এর সওয়াব ও পেতে থাকবে ।
মাদ্রাসায় দান করার ফজিলত
দানকারীকে আল্লাহ তায়ালা অনেক পছন্দ করেন এবং দানকারীকে বড় বড় বিপদ আপদ থেকে আল্লাহ রক্ষা করেন, আর মসজিদ মাদ্রাসায় দানকারীকে আল্লাহ আরো অনেক বেশি ভালোবাসেন, যেমন আমরা উপরে জানলাম মসজিদে দানকারী কে আল্লাহ সারা জীবন সওয়াব দান করবেন এমনকি মরার পর ও আল্লাহপাক সাওয়াব দান করবেন, তেমনি ভাবে মাদ্রাসায় দান করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অনেক নেকি এবং সাওয়াব প্রদান করেন
আরো পড়ুনঃ জ্বর কেন হয় জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
দান কৃত মাদ্রাসায় যতদিন মাদ্রাসা চালু থাকবে মাদ্রাসায় কোরআন তেলাওয়াত হবে যতজন মাদ্রাসায় কোরআনের হাফেজ হবে ততদিন ওই দানকারী ব্যক্তির আমলনামায় নেকি লেখা হতে থাকবে। রাসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেন মানুষ যে সময়টিতে মৃত্যুবরণ করে সেই সময়টি থেকে তার সকল আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়, রাসূলুল্লাহ [সাঃ] বলেন তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি নিজে কুরআন শিক্ষা নেয় এবং অন্যকে কুরআন শিক্ষা দেয় এবং কুরআন শিক্ষায় সাহায্য করে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম,
অতএব মাদ্রাসায় দান করলে যতদিন মাদ্রাসার দরিদ্র ছাত্ররা কোরআন তেলাওয়াত করবে যতদিন পর্যন্ত দানকৃত মাদ্রাসায় মানুষ আমল করবে কুরআন তেলাওয়াত করবে হাফেজ তৈরি হবে ততদিন পর্যন্ত দানকারী ব্যক্তি সভা পেতে থাকবেন এবং মরার পরেও সেই ব্যক্তির আমলনামায় সাওয়াব যুক্ত হতে থাকবে।
গোপনে দান করার ফজিলত
ইসলাম ধর্মে দান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত,দান করাই অনেক ফজিলত রয়েছে, দানকারীকে আল্লাহ তায়ালা খুবই পছন্দ করেন, আর যদি দান হয় গোপনে তাহলে আল্লাহ সেই দানকারীকে আরো অত্যাধিক ভালোবাসেন, গোপনে দান করার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ [সাঃ] বলেন হাশরের মাঠে আরশের ছায়া ছাড়া যখন কোন ছায়া থাকবেনা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কয়েক শ্রেণীর মানুষকে তার আরশের নিচে আশ্রয় দেবেন , তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তি হলো যে গোপনে দান করত সেই ব্যক্তি।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অভ্যাস ছিল গোপনে দান করা, অনেক বড় ইবাদত বলে বর্ণনা করেছেন দান করাকে, তিনি আরো বলেন যারা নিজের অর্জিত সম্পদ দিনের আলোতে বা রাত্রের আঁধারে গোপনে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য দান করবে দুনিয়ায় তাদের জন্য কোন ভয় নাই আল্লাহ তাআলা তাদের আমলনামায় সাওয়াব লিখতে থাকবেন,
পবিত্র কোরআন শরীফে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন হে মুমিন বান্দাগণ তোমরা দান করার পরে দানের কথা কারো কাছে প্রকাশ করো না এবং দান গ্রহিতাকে এমন কথা বলোনা বা কষ্ট দিয়ে কথা বলো না, তোমরা এমন ভাবে দান করো যেন ডান হাত দান করলে বাম হাতের না পায়।
লেখকের কথা
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা উপরে আর্টিকেলটিতে আলোচনা করেছি দান করার ফজিলত কি কোরআন হাদিসের আলোকে দানের ফজিলত মসজিদ এবং মাদ্রাসায় দান করার ফজিলত গোপন এবং প্রকাশ্যে দান করার ফজিলত সম্পর্কে , আশা করি আপনি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আপনার প্রশ্নের যথাযথ উত্তর পেয়েছেন এবং কোথায় দান করলে আল্লাহর সন্তুষ্ট হবেন সেই ব্যাপারটি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন,
যদি না জেনে থাকেন তাহলে উপরের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, এবং আপনার প্রশ্নের কাঙ্ক্ষিত উত্তরটি জেনে নিন , এমন ইসলামিক পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ।