জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত - জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল

জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত - জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন , তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য , কেননা আজ আমরা এই পোস্টে আলোচনা করতে চলেছি জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত - জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত ,সুতরাং আপনি যদি বিষয়গুলো সম্বন্ধে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের পোস্টটি না টেনে মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত - জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল
জুমার দিন প্রত্যেকটা মুসলিমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ , জুমার দিনকে আমরা সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসাবেও মনে করে থাকি , জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত - জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল কি , আমাদের মধ্যে অনেকেই জানিনা জুমার দিনের গুরুত্ব সম্বন্ধে , চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত - জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল ইত্যাদি বিষয়গুলো , শুরুতেই আপনি সূচিপত্র দেখতে পাবেন সেখান থেকে আপনার পছন্দের বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন ।

পোস্ট সূচিপত্রঃ জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত - জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল

ভূমিকা

জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন , জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয় জুমার দিনে অনেক আমল এবং ফজিলত রয়েছে , আজ আমরা আপনাদের জন্য এই পোস্টটি নিয়ে হাজির হয়েছি জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত - জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল সহ আরো বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে , সুতরাং আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।

জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত

পবিত্র জুমার দিনের গুরুত্ব ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ , জুম্মার দিন ও রাত দুটোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ , একটি হাদীসে রাসূল পাক{ সাঃ} জুমার দিন সম্পর্কে বলেছেন সাপ্তাহিক ঈদের দিন হচ্ছে জুমার দিন। জুমার দিনের গুরুত্ব ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদুল আযহার মতোই গুরুত্বপূর্ণ , ইসলামের বড় বড় কিছু ঘটনা রয়েছে জুমার দিনে । জুমা দিনের গুরুত্ব আল্লাহর রব্বুল আলামিনের কাছে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে কোরআন শরীফে জুমা নামে একটি সূরা নাযিল করা হয়েছে ।
হাদিসে বর্ণিত রয়েছে নবী করীম { সাঃ} ইরশাদ করেছেন প্রত্যেক টি সূর্য উদয় হওয়া দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সব থেকে উত্তম , জুমার দিনে হযরত আদম { আঃ} ওকে আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন , জুমার দিনেই আদম { আঃ} কে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং জুমার দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয় । এবং জুমার দিনেই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে । হাদীস শরীফে রাসুল পাক{ সাঃ} ইরশাদ করেছেন তোমরা জুমার দিনে আমার উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো ।

জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল

জুমার দিন মুসলিমদের জন্য বিশেষ একটি নিয়ামত । জুমার দিনটি অসংখ্য আমলে ভরপুর , জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমলটি হচ্ছে জুমার নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে প্রথমেই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করা , এছাড়াও আরও বেশ কিছু আমল রয়েছে জুমার দিনের , যেই আমলগুলো করলে সারা বছরের ইবাদত এর সাওয়াব পাওয়া যাবে ,
জুমার দিন সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেছেন হে ঈমানদারগণ জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহবান করা হবে তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরনের জন্য উপস্থিত হও এবং স্বল্প প্রকার কাজ কাম বর্জন করুন এটি তোমাদের জন্য অত্যন্ত কল্যাণকর যদি তোমরা উপলব্ধি কর [ সূরা জুমাঃ আয়াত নং ৯]
জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল গুলো নিচে দেওয়া হল
  • মিসওয়াক করা
  • জুমার নামাজ আদায়ের জন্য ফরজ গোসল করা
  • জুমার নামাজের জন্য উত্তম রূপে পোশাক পরিধান করা
  • জুমার নামাজের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা
  • মসজিদে আগে আগে গিয়ে মনোযোগ সহকারে খুতবা শোন
  • সব কাজকর্ম বেচাকেনা দোকানপাট বন্ধ রাখা
  • আগে আগে মসজিদে প্রবেশ করা
  • জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা
  • বেশি বেশি করে দোয়া করা

জুমার দিনের আসরের পরের আমল

ইসলামের দৃষ্টিতে জুমাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদা পূর্ণ একটি দিন ,নবী করীম{ সাঃ} জুমার দিন সম্পর্কে এরশাদ করেন প্রত্যেকটি দিবস সমূহের মধ্যে জুমার দিন সর্বশ্রেষ্ঠ এবং জুমার দিন আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত ।
আবু হুরায়রা { রাঃ} হতে বর্ণিত হাদীস শরীফে নবী করীম{ সাঃ} ইরশাদ করেছেন আসরের নামাজ পড়ার পর যেই ব্যক্তি ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার দরুদ শরীফ { আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিউল উম্মিইয়ি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা } পাঠ করবেন আল্লাহ পাক তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন ও ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব সেই ব্যক্তির আমলনামায় লেখা হবে ।

জুমার দিনের বিশেষ ৫ টি আমল

জুমার নামাজ আদায় করা<> হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে নবী করীম{ সাঃ} ইরশাদ করেছেন , পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ , এক জুম্মা থেকে পরবর্তী জুমা এবং এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজান মাস পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের পাপ মোচন করে , সেই ব্যক্তি যদি কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে তাহলে ।
জুমার দিনের গোসলের সাওয়াব<> হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে নবী করীম { সাঃ} বলেছেন যে ব্যক্তি উত্তমরূপে জুমার দিন ফরজ গোসল আদায় করল এবং সর্বপ্রথম মসজিদে গিয়ে ইমামের কাছাকাছি বসে মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনল , সেই ব্যক্তির প্রতি কদমের বদলে এক বছরের রোজা ও নামাজের সওয়াব লেখা হবে ।
মসজিদে আগে আগে প্রবেশের সাওয়াব<> নবী করীম { সাঃ} ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের পর সর্বপ্রথম মসজিদে প্রবেশ করলো সে একটি উট কোরবানি করলো , যে এর পর মসজিদে প্রবেশ করলো সে যেন একটি গরু কোরবানি করল ।
সূরা কাহাফ পাঠ করা<> জুমার দিনের আমল গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সূরা কাহাফ পাঠ করা , নবী করীম { সাঃ} ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ পাঠ করবে জুমার দিন তার জন্য ২ জুমার মধ্যবর্তী সময়ে আলোকিত হয়ে থাকবে , যে শেষ দশ আয়াত পাঠ করবে অতঃপর দাজ্জাল বের হলে তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা<> প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জুমার দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নবী করীম { সাঃ} ইরশাদ করেন প্রত্যেকটি দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম , সুতরাং তোমরা এই দিনে আমার উপরে বেশি বেশি দরুদ পড়ো কেননা জুমার দিনে তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়।

জুমার দিন মসজিদে আগে আসার ফজিলত

জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন , জুমার দিনের মসজিদে আগে আসার ফজিলত গুলো নিচে দেওয়া হল
  • যে ব্যক্তি উত্তম রূপে ফরজ গোসল করে সর্বপ্রথম মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি উট কুরবানী করল
  • যেই ব্যক্তি দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে মসজিদে প্রবেশ করলো সে যেন একটি গরু কুরবানী করল
  • তৃতীয় যেই ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সে যেন একটি দুম্বা কোরবানি করব
  • চতুর্থ যে ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করলো সে যেন একটি মুরগি কুরবানী করল
  • পঞ্চম যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করলো সে যেন একটি দিন সদকা করল
অতএব আমাদের প্রত্যেক মুসলিমের উচিত জুমার দিন আগে আগে মসজিদে গিয়ে কুরবানী না দিয়েও কুরবানী করার সওয়াব অর্জন করা

লেখক এর মতামত

প্রিয় বন্ধুগণ আজ আমরা উপরের আর্টিকেলটি থেকে জানতে পারলাম জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত - জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল , জুমার দিনের আসরের পরের আমল , জুমার দিনের বিশেষ পাঁচটি আমল , এবং জুমার দিনে মসজিদে আগে আসার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত , আশা করি আপনি এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে পুরোপুরিভাবে জানতে পেরেছেন যদি না জেনে থাকেন তাহলে এক্ষুনি মনোযোগ সহকারে পুরো আর্টিকেলটি করুন , এরকম আরো পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url