অতিরিক্ত খাবার খেলে কি হয় বেশি খেয়ে ফেললে কি করা উচিত
অতিরিক্ত খাবার খেলে কি হয় বেশি খেয়ে ফেললে কি করা উচিত খাওয়া প্রত্যেক মানুষের জন্য খুবই আনন্দদায়ক একটা জিনিস খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর ব্যাপার, তাই আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরী যে অতিরিক্ত খাবার খেলে কি হয় বেশি খেয়ে ফেললে কি করা উচিত এই ব্যাপারগুলো সম্বন্ধে তবে অতিরিক্ত খেলে বা কম খেলে ও কিন্তু শরীরের অনেক রকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অতিরিক্ত খাবার খেলে কি হয় বেশি খেয়ে ফেললে কি করা উচিত আজ আমরা জানবো এই বিষয়গুলি সম্বন্ধে ,নিয়মিত এবং ঠিকমতো খাবার খাওয়া প্রত্যেকটা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরী। নিয়মিত এবং পরিমাণ মতো খাবার না খেলে আপনার শরীরে গ্যাস্ট্রিক আলসার কিডনির সমস্যা এমনকি হার্টের সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে তাই, সঠিক সময় সঠিক পরিমাণে খাবার খাওয়াটাই শরীরের জন্য উত্তম।
পোস্ট সূচিপত্রঃ অতিরিক্ত খাবার খেলে কি হয় বেশি খেয়ে ফেললে কি করা উচিত
- ভুমিকা
- অতিরিক্ত খাবার খেলে কি হয়
- খাবার কম খেলে কি হয়
- খাবার না খেলে কি হয়
- রাতে খাবার না খেয়ে ঘুমালে কি ক্ষতি হয়
- বেশি খেয়ে ফেললে কি করা উচিত
- লেখকের শেষ কথা
ভুমিকা
খাওয়া বাঙ্গালীদের অত্যন্ত প্রিয় একটি জিনিস মজা করে খাওয়ার জন্য বাঙালি বেশ পটু ,অতিরিক্ত খাবার খেলে কি হয় বেশি খেয়ে ফেললে কি করা উচিত এই বিষয়গুলি সম্বন্ধে আমরা না জেনেই খাওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ি আর সেটা যদি হয় কোন দাওয়াতের খাবার বা কোন বিয়ের বাড়ির খাবার তাহলে তো কথাই নেই কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার সময় চলে এসেছে আমরা অনেকেই এমনটা মনে করি এবং অনেকে খাইও ।
চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত খাবার খেলে কি হয় বেশি খেয়ে ফেললে কি করা উচিত খাবার কম খেলে কি হয় খাবার না খেলে কি হয় রাত্রের খাবার না খেলে কি হয় আরো অনেক ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই বিষয়গুলো।
অতিরিক্ত খাবার খেলে কি হয় বেশি খেয়ে ফেললে কি করা উচিত
অতিরিক্ত খাবার খেলে কি হয়
আমরা যদি কখনো বেশি খেয়ে ফেলি, সেই বেশি খাওয়ার কারনে আমাদের অনেক রকম সমস্যা হতে পারে যেমন বুক জ্বালাপোড়া করা রক্ত চাপ বেড়ে যাওয়া বদহজম বমি বমি ভাব ডায়রিয়া গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এমনকি মাথা ব্যথা সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে, যারা হার্টের রোগী বা কিডনির সমস্যা আছে সেই ক্ষেত্রে তাদের বেশি সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মুখের ভিতরে ঘা কেন হয় ঘা দূর করার ঘরোয়া উপায়
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে একজন মানুষের দেহের অধিকাংশ রোগ বালাই অতিরিক্ত খাবারের কারণেই হয়ে থাকে, অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খাওয়া ই মানুষকে দিন দিন জটিল রোগ এবং মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
অতিরিক্ত খাবার কারণে মানুষের হার্টের সমস্যা বেশি হয় কারণ বেশি খেলে মানুষের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো যথাযথভাবে কাজ করতে পারে না তাই অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে একজন মানুষ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দুর্বল হয়ে পড়েন শরীরের শক্তি কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় অল্প বয়সেই বৃদ্ধের মত দেখা যায় এবং নানান রকম রোগব্যাধি ইত্যাদি শরীরে বাসা বাঁধে।
গবেষকদের মতে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে যে সকল রোগ গুলি শরীরে বাসা বাঁধে।
- মস্তিষ্কের রোগ
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
- আলসারের সমস্যা
- ডায়াবেটিস
- হার্টের সমস্যা
- কিডনির সমস্যা
- ফুসফুসের সমস্যা
- চোখের সমস্যা
- গলার সমস্যা
খাবার কম খেলে কি হয়
খাওয়া প্রত্যেকটা মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়, অনেক সময় আমরা বিভিন্ন কারণে কাজের চাপের কারণে বা বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সময় মত খাবার খেতে পারি না বা খেতে ভুলে যাই , অনেক সময় আমরা স্বাস্থ্য কমানোর জন্য ডায়েট করি খাওয়া কমিয়ে দিই বা দুপুরে রাত্রে খাওয়া হতে বিরত থাকি এটাতেও অনেক ক্ষতি হয় শরীরের , আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে নানান ধরনের সমস্যা চলুন জেনে নেওয়া যাক খাবার কম খেলে বা না খেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে।
- দুশ্চিন্তা। খাবার কম খেলে বা খাবার না খেলে আপনার শরীরের অ্যাড্রিনালিন ও আরো কিছু হরমোন এর ক্ষতি হয় এতে করে মানসিক চাপ বেড়ে যায় রক্তচাপ বেড়ে যায় হতাশা এবং দুশ্চিন্তা ইত্যাদি দেখা দেয়
- অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার কারণে যেমন মাথা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তেমনি ভাবে কম খেলেও শরীরের রক্তের সমস্যা সৃষ্টি হয়, সে কারণে মাথা ঘোরা মাথা ব্যথা ক্লান্তি ভাব ইত্যাদি দেখা দেয়
- হজমের সমস্যা। খাবার কম খেলে বা না খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই হজম শক্তি ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন অন্তত তিন বেলা ঠিকমতো খেয়ে নিতে হবে
- খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। আপনি যদি ঠিকমতো তিন বেলা না খান এক সময় খাবার অন্য সময় খান তাহলে আপনার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যাবে এটা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর
- মোটা হয়ে যাওয়া। আমরা সবাই জানি বেশি খাবার খেলে মানুষ মোটা হয়, কিন্তু খাবার সঠিক সময়ে নিয়মিত না খেলে আপনার শরীরে বিপাক প্রক্রিয়া নষ্ট হয় এতে করে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি গুলা হেঁটে পরিণত হয়ে যায় তাতে ওজন বেড়ে যাওয়ার অনেক সম্ভাবনা থাকে
খাবার না খেলে কি হয়
খাবার না খেলে আমাদের শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন পেটের পাকস্থলী নিজের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে যার কারণে গ্যাস্ট্রিক আলসার এসিডিটি ইত্যাদির সমস্যা হয় এবং খাবার হজমেরও সমস্যা হয় ।
খাবার না খেলে যে সমস্যা গুলি হতে পারে
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
- বদহজমের সমস্যা
- আলসারের সমস্যা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
- শরীর ভেঙে পড়া
- দ্রুত সময়ে বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া
- দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যাওয়া
- লো প্রেসারের সমস্যা
- মস্তিষ্কের সমস্যা
রাতে খাবার না খেয়ে ঘুমালে কি ক্ষতি হয়
- আপনার শরীরের শক্তির অভাব হবে দেখবেন শরীরের শক্তি ধীরে ধীরে কমে গেছে , খুব দ্রুত হাঁপিয়ে উঠছেন বেশি হাঁটাহাঁটি করতে পারছেন না ইত্যাদি
- আপনার শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে বা আপনি মোটা হয়ে যেতে পারেন, আপনি রাত্রে না খাওয়ার ফলে শরীরের ক্যালরি গুলো ঠিক মত ব্রাশ করতে পারে না জমে থাকা ক্যালরীগুলো ফ্যাট তৈরি করে যা থেকে আপনার মোটা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক
- রাত্রে না খেয়ে ঘুমালে রাত্রে আপনার ঠিক মত ঘুম আসবে না, সারারাত অস্বস্তিতে ভুগবেন গভীর ঘুম আসবে না সকালে উঠে শরীর ঝিমঝিম করবে ইত্যাদি
- আপনার মেজাজ খিটমিটে হয়ে যেতে পারে, রাত্রে না খেয়ে ঘুমালে নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে অন্যতম মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া আপনি একটু কিছু তেই রেগে যাবেন ইত্যাদি
বেশি খেয়ে ফেললে কি করা উচিত
- লেবুর রস। লেবুর রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং এসিড উপাদান থাকে যা আপনার পেটের পাকস্থলী দ্রুত খাবার হজম করতে সাহায্য করবে।
- পুদিনা পাতার রস। আপনি অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে পুদিনা পাতা বেটে তার রস আপনি এক চামচ বা দুই চামচ খেয়ে নিতে পারেন সেই ক্ষেত্রে আপনার হজমের পাশাপাশি পেট ফোলা এবং গ্যাস্ট্রিক হওয়া থেকে বিরত রাখবে।
- পানির সাথে লেবুর রস। লেবু এবং পানি দুটোই অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান, আপনি যদি কখনো বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে অর্ধেক লেবু এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নিলে অনেকটাই স্বস্তি মিলবে
- হালকা ব্যায়াম করে নিন। বেশি খাওয়া হয়ে গেলে আপনি হালকা ব্যায়াম করে নিতে পারেন এতে করে আপনার দ্রুত হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে
- হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে গেলে আপনি হালকা হাটাহাটি করে নিতে পারেন এতে আপনার হজমে সাহায্য করবে এবং রক্তের শর্করা ও বৃদ্ধি পাবে
- দই খেতে পারেন। আপনি অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে দই খেতে পারেন দই আপনার শরীরের ক্ষতিকর উপাদান বের করতে ও হজম করতে সাহায্য করে
- বেশি বেশি পানি পান করুন। বেশি খেয়ে ফেললে আপনি খাওয়ার পর অত্যন্ত ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরপর পানি পান করতে থাকুন, এতে করে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।