টক দই খাওয়ার উপকারিতা - দুধ থেকে টক দই তৈরির পদ্ধতি
সূচিপত্রঃ টক দই খাওয়ার উপকারিতা - দুধ থেকে টক দই তৈরির পদ্ধতি
ভূমিকা
টক দই খাওয়ার উপকারিতা - দুধ থেকে টক দই তৈরির পদ্ধতি
টক দই খাওয়ার উপকারিতা
টক দই অনেক উপকারী একটি খাদ্য , আপনি যদি জানেন টক দই এর উপকারিতা সম্বন্ধে তাহলে আপনিও টক দই খেতে শুরু করবেন , টক দই আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন কাজ করে থাকে , ভিটামিন মিনারেল আমিষ ইত্যাদি সহ আরো বেশ কিছু উপাদান রয়েছে , নিচে টক দইয়ের উপকারির কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো ।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত ওজন বাড়াবেন কিভাবে জেনে নিন
-
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে টক দই <><> উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
করতে অনেক সাহায্য করে টক দই , টক দই এর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান উচ্চ রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে , এবং দইয়ে থাকা প্রবায়োটিক উপাদান হার্টকে
সুস্থ রাখে , তাই উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের নিয়মিত টকটাই খাওয়া উচিত
-
মানসিক চাপ কমায়<><> আমাদের শরীরের মাইক্রোবায়নের চরিত্র
পরিবর্তনের জন্য টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে এর ফলে আমাদের মানসিক চাপ বিষন্নতা ইত্যাদি দূর করে
-
শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে <><> টক দই এ প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি মজুদ
রয়েছে , টক দই এ রয়েছে ক্যালসিয়াম , ভিটামিন বি , প্রোটিন , পটাশিয়াম
, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি সহ বেশ কিছু উপাদান , যা আমাদের
শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে
-
পেটের সমস্যা দূর করে <><> টক দইয়ে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া
গুলো পেটের যেকোনো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে যেমন গ্যাস , বোধ ওজন ,
ইত্যাদি বিষয়গুলো
-
মুখের ঘা ভালো করে <><> টক দই এ থাকা বিভিন্ন উপাদান এবং
ব্যাকটেরিয়া মুখের ঘা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে , দিনে দুই থেকে
তিনবার মুখের ঘা এ টক দই লাগালে মুখের ঘা দ্রুত সেরে যাবে
- চর্মরোগ ভালো করে <><> টক দই চর্মরোগ ভালো করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ত্বকের মৃত কোষগুলিকে সরিয়ে ফেলে , এবং ত্বকে হওয়া চর্মরোগ , ব্রণ ইত্যাদি রোগ ভালো করে
-
হাড় মজবুত করতে টক দই <><> হাড় মজবুত করার জন্য টক দই খুবই
উপকারী এক কাপ টক দইয়ে ২৭৫ মিলি ক্যালসিয়াম মজুদ থাকে , সকালে টক দই খাওয়ার
কারণে হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে এবং হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখে
-
টক দই এবং দারুচিনি <><> ওজন কমাতে দারুচিনি ও অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট , আপনি টক দই এর সঙ্গে
দারুচিনি গুড়ো করে মিশিয়ে খেতে পারবেন সেটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য
করবে
-
এছাড়াও মূত্রাশয়ের আক্রমণের আশঙ্কা কমাতে দই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে শরীরের
কোলেস্টর নিয়ন্ত্রণে রাখে দই , ইত্যাদি বিষয়গুলো ছাড়া আরো অনেক দইতে থাকা
উপাদান শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে
ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে টক দই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে , এবং শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য টক দই স্বাস্থ্যকর একটি খাবার , চলুন জেনে নেওয়া যাক ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার কিছু নিয়ম ।
আরো পড়ুনঃ হেঁচকি থামানোর উপায় কি - হেঁচকি থামাতে কি করব
- ফল এর সঙ্গে টক দই <><> যেকোনো ফলই শরীরে পক্ষে খাওয়া অনেক উপকারী , তাই আপনার পছন্দের যে কোন ফলের সঙ্গে দই মিশিয়ে খেতে পারেন , এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ , যা আপনার ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে
-
টক দই এবং চিয়া বীজ <><> ওজন কমাতে চিয়া বীজ শরীরে অত্যন্ত
ভূমিকা পালন করে , আপনি যদি টক দই এর সঙ্গে জিয়া বীজ গুঁড়ো করে মিশিয়ে খেতে
পারেন , তাহলে এটি আপনার ওজন কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে , কারণ
এতে রয়েছে আইরন পটাশিয়াম ভিটামিন সি ইত্যাদি সহ বেশ কিছু উপাদান
-
টক দই এবং জিরা <><> জিরা রান্নায় স্বাদের জন্য অত্যন্ত
জরুরি একটি উপাদান , আপনি টক দইয়ের সঙ্গে অল্প পরিমাণে জিরা মিশিয়ে
খেলে সেটি আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে
-
বাদাম এর সঙ্গে টক দই <><> ওজন কমাতে বাদাম এর জুড়ি
নাই টক দই এর সাথে বাদাম নিয়মিত খেতে পারেন , বাদামে রয়েছে প্রোটিন
ফাইবার ইত্যাদি , টক দই ও বাদাম একসঙ্গে খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে
সাহায্য করবে
টক দই কখন খাওয়া উচিত
টক দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম , ভিটামিন বি -২ , ভিটামিন বি
-১২ পটাশিয়াম ইত্যাদি সহ আরো বেশ কিছু উপাদান প্রচুর পরিমাণে রয়েছে টক দই
এ । টক দই এ থাকা প্রবায়োটিক উপাদান লিভার এবং হার্ট সুস্থ রাখে , এবং দইয়ে
থাকা বিভিন্ন ধরনের উপাদান আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে থাকে ,
বিশেষজ্ঞদের মতে , দিনের বেলা টক দই খাওয়াটাই সবচেয়ে উত্তম সময় , এবং খাওয়ার পরে টক দই খাওয়াটা উত্তম , তবে বিশেষজ্ঞরা এটাও বলেন সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে দিনের বেলা দুইটি খাবার মাঝামাঝি টক দই খাওয়াটা শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী , বিশেষজ্ঞদের মতে রাতের বেলা দই না খাওয়াটাই উত্তম । কারণ রাত্রে দই খাওয়া হলে সর্দি-জনিত সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে ,
আরো পড়ুনঃ পুদিনা পাতার উপকারিতা সম্বন্ধে বিস্তারিত জানুন
বিশেষজ্ঞদের গবেষণা মতে খাওয়ার আগে টক দই খাওয়া অত্যন্ত কার্যকরী , খাওয়ার আগে টক দই খেলে পরিপাকতন্ত্রর কার্যক্ষমতা বেড়ে যায় , এবং খাবার ঠিকমতো হজম করতে সাহায্য করে , এবং শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে তাই টক দই খাওয়ার সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে খাওয়ার আগে টক দই খাওয়া।
দুধ থেকে টক দই তৈরির পদ্ধতি
টক দইয়ে অনেক উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম উপকার করে
থাকে , তাই টক দই সব সময় বাসায় মজুদ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়
, আজ আমরা জানবো বাসায় দুধ থেকে টক দই তৈরির পদ্ধতি ।
-
প্রথমেই আমরা যেটি করব , দুধ একটি বাটিতে নিয়ে বেশি আগুনে গরম করতে থাকবো এবং
চামচ দিয়ে আসতে আসতে দুধটি নাড়তে থাকবো
-
এরপর আগুন এর পরিমাণ কমিয়ে অল্পতাপে কিছুক্ষণ রাখার পর , দুধগুলো পরিষ্কার
কাপড়ে ছেঁকে নেব
-
এরপর দুধগুলো ঠান্ডা হওয়ার আগে ভালোভাবে দুধগুলো ফাটিয়ে নিব
-
এবং দুধগুলো আপনি পাত্রে ঢালার আগে যতক্ষণ পর্যন্ত না ক্রিম এর আকার ধারণ করে
ততক্ষণ পর্যন্ত ফেটিয়ে নিন
-
এরপর একটি বাটিতে দুধ নিন এবং আগের আগের ফেটানো ক্রিম বা দইগুলো মিশিয়ে
নিন
-
এরপর ওই পাত্রটি কে ভালোভাবে নির্জন কোন স্থানে রেখে দিন
- পাত্রটি বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন এবং পাত্রটি বারবার নাড়বেন না বা ঝাকাবেন না
-
৭ থেকে ৮ ঘন্টা এইভাবে রেখে দেওয়ার পর তৈরি হয়ে যাবে আপনার কাঙ্খিত টক দই
টক দই এর ক্ষতিকর দিক
টক দই সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি খাবার , প্রচুর পরিমাণে উপাদান
রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে , তেমনি ভাবে টক
দইয়ের কিছু ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে , নিচে টক দই এর কিছু ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করা
হলো
আরো পড়ুনঃ দুপুরে ঘুমালে কি ক্ষতি হয় দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমানো উচিত
-
গ্যাসের সমস্যা <><> টক দই এ ল্যাকটোজ থাকে যা এক ধরনের চিনি
, যা আমাদের হজম শক্তি তে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে যার ফলে পেটে গ্যাস এর সৃষ্টি হতে
পারে
-
শরীরের ওজন বৃদ্ধি <><> টক দই এ প্রচুর পরিমাণে চর্বি এবং
ক্যালরি থাকে যা আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে , তাই
অতিরিক্ত পরিমাণে টক দই খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধি সম্ভাবনা বেড়ে যাবে
-
উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে <><> টক তৈরি প্রচুর পরিমাণে চর্বি এবং
ক্যালরি থাকার কারণে তা আপনার ওজন এবং শরীরের রক্তচাপ বাড়াতে পারে , তাই
অতিরিক্ত টক দই খাওয়া আপনার উচ্চ রক্তচাপ এর কারণ হতে পারে
-
এলার্জির সমস্যা <><> তৈরি হয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন মজুদ
থাকে , প্রোটিন এ কারো এলার্জি থাকতে পারে তাই অতিরিক্ত দই খেলে , প্রচুর
পরিমাণে শরীরে প্রোটিন এর কারণে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে
-
দাঁতের এনামেল নষ্ট করে <><> টক দইয়ে অতিরিক্ত লেক্টিক
এসিডের কারণে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয় , অতিরিক্ত পরিমাণে টক দই খেলে
দাঁতের সমস্যার সৃষ্টি হয়
-
ডায়রিয়া হতে পারে <><> অতিরিক্ত পরিমাণে বা বেশি বেশি দই
খেলে শরীরে উচ্চ ল্যাকটোজ উপাদান এর কারণে ডায়রিয়া হতে পারে ,
লেখকের মতামত
প্রিয় বন্ধুগণ আজ আমরা উপরের আর্টিকেলটি থেকে জানতে পারলাম টক দই খাওয়ার উপকারিতা - দুধ থেকে টক দই তৈরির পদ্ধতি , ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম টক দই কখন খাওয়া উচিত দুধ থেকে টক দই তৈরীর পদ্ধতি এবং টক দই এর ক্ষতিকর দিক ক ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত ,
অতএব আপনি যদি বিষয়গুলো সম্বন্ধে না জেনে থাকেন তাহলে এখনি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আপনার কাঙ্খিত উত্তরগুলি পেয়ে যাবেন , নিয়মিত এরকম পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ