শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন - ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে

শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন - ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে আপনি কি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা আজ আমরা আলোচনা করব শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন - ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে ইত্যাদি ছাড়াও আরো বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে। তাই আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন - ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে সে সম্পর্কে।
শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন - ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
শীতকালের বাতাসে আদ্রতা কম থাকার কারণে , আমাদের ত্বকের পাতলা চামড়াগুলো শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যায় তার মধ্যে ঠোঁট অন্যতম । তাই আজকে আমাদের আয়োজন শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন - ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে সহ আরো বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে।

শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন - ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে ভূমিকা

শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন এই বিষয়টি নিয়ে প্রায় আমাদের সকলের ই জানার ইচ্ছা রয়েছে। শীতকালে বাতাসে আদ্রতা কম থাকার কারণে , এবং বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হওয়ার কারণে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন পাতলা চামড়াগুলো শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যায়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঠোঁট ফাটা। ঠোঁটের চামড়া বাকি শরীরের চামড়ার তুলনায় অনেক পাতলা। যার কারণে ঠোঁট সর্বপ্রথম শুকিয়ে যায়।
তাই আপনার জন্য আজকে আমাদের আয়োজন শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন - ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে ,ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় , ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার উপায় , ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ , ঠোঁট ফাটার ক্রিম ও দাম ইত্যাদি সম্পর্কে। তাই আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন - ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন

আসছে শীতকাল , আর শীত আসলেই আমাদের কম বেশি প্রায় সকলের ই ঠোঁট ফাটা সমস্যা দেখা দেয়। শীতকালে ঠোঁট ফাটার মেইন কারণটি হচ্ছে , শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হওয়ার কারণে আমাদের শরীরে ঘাম কম হয়। ঘাম কম হওয়ার ফলে শরীরের সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে নির্গত হওয়া তেলতেলে পদার্থ গুলি শরীরের চামড়ার প্রত্যেকটি স্থানে ঠিকমতো ছড়িয়ে পড়তে পারে না। যেটির ফলে শরীরের শুকনো জায়গাগুলো ফেটে যায়।
আর আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি চামড়ার তুলনায় সবচেয়ে পাতলা চামড়া হচ্ছে ঠোঁটের চামড়া। যার ফলে শীতে বাতাসের আদ্রতা কম থাকার কারণে সর্বপ্রথম আমাদের ঠোঁট ফাটে। এবং ঠোঁট আমাদের মুখ এবং নাকের মধ্যস্থলে থাকার ফলে মুখ এবং নাক দিয়ে নির্গত হওয়া নিঃশ্বাস এর কারণে , অন্যান্য স্থানের তুলনায় আমাদের ঠোঁট ফাটে বেশি ফাটে।
এটি ছাড়া ও ঠোঁট ফাটার আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে , যেমন আপনার শরীরে যদি এলার্জির সমস্যা থাকে , এছাড়াও থাইরয়েড , ভিটামিন বি , ইত্যাদির অভাবে শীতকালে ঠোঁট ফাটে। শীতে অন্যান্য অংশের তুলনায় ঠোঁট আগে ফাটে কারণ , এটি চামড়ার ওপরের খুব পাতলা একটি স্তর। সেজন্য শীতকালে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ কম হওয়ার কারণে শরীরের জলিও অংশ কমে যায় যার ফলে ঠোঁটের চামড়ার এই স্তরটি শুকিয়ে ফেটে যায়।

ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায়

শীতকালে ঠোঁট ফাটা প্রায় সকলেরই অন্যতম একটি প্রধান সমস্যা। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম হওয়ার কারণে শরীরের পাতলা চামড়া গুলো শুকিয়ে ফেটে যায়। ঠোঁট ফাটার কারণে আমাদের দৈনন্দিন নানান রকম সমস্যায় পড়তে হয়। তাই আজ আমরা আপনাদের জানাবো ঘরোয়া কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে ঠোঁট ফাটা নির্মূল করার সহজ কিছু কৌশল। যা আপনার ঠোঁট ফাটা কমানোর পাশাপাশি ঠোঁটের স্বাস্থ্য ও ভালো রাখবে।

মধু ও দারুচিনি। 

ঠোঁট ফাটা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মধু। মধু প্রাকৃতিকভাবে এনটোবায়োটিকের কাজ করে। তাই আপনি ঠোঁট ফাটা কমানোর জন্য মধুর সঙ্গে দারুচিনির গুড়া এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে ঠোঁটে প্রলেপ লাগান। এভাবে কিছুদিন করার ফলে আপনার ঠোঁট ফাটা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।

অলিভ অয়েল। 

অলিভ অয়েলে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান যেটি মশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। অলিভ অয়েলের রয়েছে ফ্যাটি এসিড , যেটি আমাদের ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে এবং ঠোঁট ফাটা দ্রুত কমায়। শীতকালে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ঠোঁটে অলিভ অয়েল ব্যবহারের ফলে ঠোঁট ফাটা কমবে এবং ঠোঁট মসৃণ এবং নরম হবে।

ঠোঁট ফাটা কমাতে দুধ। 

দুধ প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে খুবই কার্যকরী। আপনি প্রতিদিন ঠোঁটে ২ থেকে ৩ বার কাঁচা দুধ এর প্রলেপ লাগান এবং ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপনি শীতকালে নিয়মিত এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে ঠোঁটফাটা কমবে এবং ঠোঁট নরম ও মসৃণ হবে।

এলোভেরা। 

এলোভেরার গুণ সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই কম বেশি জানি। এলোভেরা শরীরের পাশাপাশি তকের জন্য খুবই উপকারী। ঠোঁট ফাটা কমাতে এলোভেরা কার্যকরী একটি উপাদান। আপনি নিয়মিত ঠোঁটে এলোভেরার জেল ব্যবহার করলে , ঠোঁট ফাটা ক্ষমার পাশাপাশি ঠোঁট মসৃণ এবং সফট করে তুলবে।

নারিকেল তেল। 

ঠোঁট ফাটা কমাতে নারিকেল তেল খুবই কার্যকরী। নারিকেল তেল এ থাকা ফ্যাটি এসিড ঠোঁটকে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচায় এবং ঠোট ফাটা দূর করে। নিয়মিত আপনি ঠোটে নারিকেল তেল ব্যবহার করলে ঠোঁট ফাটা কমবে এবং ঠোঁট কোমল ও মুসলিম করে তুলবে।

গ্লিসারিন। 

গ্লিসারিনে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে। ঠোঁটফাটা কমাতে সবচাইতে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে গ্লিসারিন। প্রতিদিন রাত্রে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে গ্লিসারিন ব্যবহার করার ফলে ঠোঁট ফাটা কমার পাশাপাশি ঠোঁট মসৃণ এবং নরম করে তোলে।

ঠোঁট ফাটা কমাতে ঘি। 

ঠোঁট ফাটা কমাতে সবচাইতে কার্যকরী উপায় হচ্ছে ঠোঁটে ঘি ব্যবহার করা। ঘিয়ে থাকা ভিটামিন ই , এবং ভিটামিন কে , ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সাহায্য করে। আপনি ঠোঁটের পাশাপাশি আপনার ত্বকে নিয়মিত ঘি ব্যবহার বা মালিশ করতে পারেন। যার ফলে আপনার ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচাবে। এবং ত্বক মসৃণ ও কোমল করে তুলবে।

ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে

শীতে ঠোঁট ফাটে সাধারণত , বাতাসের আদ্রতা কম হওয়ার কারণে আমাদের ত্বকের পাতলা চামড়া গুলো শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন রকমের গবেষণায় ঠোঁট ফাটার কারণ হিসেবে তারা ভিটামিন বি এর অভাবকে চিহ্নিত করেছেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে ঠোঁট ফাটার অন্যতম কারণ হচ্ছে ভিটামিন বি এর অভাব। এছাড়াও ফোলেট ভিটামিন অর্থাৎ ভিটামিন বি ২ , ভিটামিন বি ৯ , ভিটামিন বি ১২ , ভিটামিন বি ৬ , ইত্যাদি ভিটামিন গুলোর অভাবে ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যায় এবং শরীরের চামড়ার ওপরের পাতলা আবরণ বা ঠোঁটের চামড়া শুকিয়ে ফেটে যায়।

ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার উপায়

শীতে বাতাসে আদ্রতা কমে যাওয়ার কারণে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হচ্ছে ঠোঁট ফাটা এবং ঠোঁটের চামড়া ওঠা। শীতে ঠোঁট ফেটে যে চামড়া গুলো উঠতে থাকে , সেগুলো হচ্ছে ঠোঁটের মৃত কোষ। সেগুলোকেই মূলত ঠোঁটের মরা চামড়া বলা হয়। এটা অনেক সময় গরমকালেও হয়ে থাকে। অতিরিক্ত রোধ লাগার কারণে এবং খারাপ ব্যবহার কারণেও ঠোঁটের চামড়া উঠতে পারে।
ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়টি হচ্ছে । আপনি একটু মধু , সঙ্গে একটু চিনি , অলিভ অয়েল , এবং কয়েক ফোঁটা পুদিনার তেল , ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর আপনি একটি নরম কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে কিছুক্ষণ ঠোঁটের উপরে ধরে রাখুন। এরপর আপনি মেশানো উপাদানটি ঠোঁটে মালিশ করুন। এবং পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করার পর , নরম কাপড়টি দিয়ে ঠোটটি হালকা ভাবে মুছে নিন দেখবেন আপনার ঠোঁটের মরা চামড়া গুলি সব উঠে গেছে। এরপর আপনি হালকা গরম পানি দিয়ে ঠোঁটটি ধুয়ে নিন।

ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ

শীতকালে প্রায়ই আমাদের ঠোঁট শুকিয়ে যায়। অন্যান্য স্থানের তুলনায় ঠোঁটের চামড়া অনেক পাতলা যার কারণে ঠোঁট খুব সহজেই শুকিয়ে যায়। শুষ্ক ঠোট এবং ফাটা ঠোঁটে অনেক সময় যন্ত্রণার পাশাপাশি রক্তক্ষরণ ও হয়। বর্তমান সময়ে শীতকালের পাশাপাশি সব ঋতুতেই ঠোঁট ফাটার প্রবণতা দেখা যায়। ঠোট শুকিয়ে যাওয়া কিছু অভ্যাসের কারণেও হয়ে থাকে। নিচে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ গুলো বর্ণনা করা হলো।

পানি কম খাওয়ার ফলে। 

পানি কম খাওয়ার ফলে ঠোঁট শুকিয়ে যায়। আপনি যদি সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করেন , তাহলে আপনার ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে এবং ফেটে যেতে পারে। তাই ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া রোধ করতে পরিমাণ মতো পানি খাওয়ার বিকল্প নেই।

লিপিস্টিকের ব্যবহার। 

লিপিস্টিক ব্যবহার করার ফলে আপনার ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। লিপিস্টিকে থাকা বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল এর কারনে ঠোঁট শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যায়। আপনি লিপস্টিক ব্যবহার করার আগে ঠোঁটে মশ্চারাইজার লিপ বাম ব্যবহার করুন , এরপর আপনি লিপস্টিক ব্যবহার করুন। তাহলে আপনার ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার রোধ করবে।

টুথপেস্ট। 

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁত এবং মুখের স্বাস্থ্য উভয়ই ভালো থাকে। কিন্তু আপনাকে সঠিক টুথপেস্ট নির্বাচন করতে হবে। ভুল টুথপেস্ট ব্যবহার করার ফলে আপনার ঠোট শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঠোঁটের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । তাই ঠোঁটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সঠিক টুথপেষ্টটি নির্বাচন করুন।

অতিরিক্ত চা কফি পান করা। 

অতিরিক্ত যা বা কফি খাওয়ার কারণে ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। চা এ থাকা ক্যাফেইন শরীরে পানি শূন্যতা সৃষ্টি করে । তাই অতিরিক্ত চা বা কপি খাওয়ার ফলে আপনার ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে এবং ফেটে যেতে পারে।

ঠোঁট চাটার কারণে। 

আমরা অনেক সময় শুকিয়ে যাওয়া ঠোঁট জিব্বা দিয়ে চাটি বা জিব্বা বার করে ভিজিয়ে নেয়। এটা ভালো কিন্তু এটা করার ফলে আমাদের ঠোঁট আরো বেশি মাত্রায় শুকিয়ে যায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে মুখের লালাই এনজাইম থাকে যা ঠোঁটকে শুষ্ক করে তোলে, এবং ঠোঁট ফাটা শুরু হয় অনেক সময় রক্তক্ষরণ ও হয়। তাই এটা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন সেই ডাক্তার।

মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার কারণে। 

আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা নাক এর পরিবর্তে মুখ দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়। অনেক সময় সর্দি লাগার কারণে নাক বন্ধ হয়ে যায় , যার কারণে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার ফলে ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে।

ঔষধের রিয়্যাকশন। 

অনেক সময় ঔষধের রিয়্যাকশনের কারণে ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে এবং ফেটে যেতে পারে। অনেক সময় শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিভিন্ন রকম ঔষধ যেমন ব্যথার ঔষধ , ডিপ্রেশনের ঔষধ , ইত্যাদি ঔষধ গ্রহণ করার কারণে ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে এবং ফেটে যেতে পারে।

ঠোঁট ফাটার ক্রিম ও দাম

শীতকালে ঠোঁট ফাটা সমস্যাটি প্রায় আমাদের সকলেরই দেখা যায়। শীতকালে ঠোঁট ফাটার ঘরোয়া সমাধান আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও কিছু ক্রিম ব্যবহারের মাধ্যমে ঠোঁট ফাটা দূর করতে পারবেন এবং ঠোঁট কোমল ও মসৃণ রাখতে পারবেন।
  • ঠোঁট ফাটার জন্য আপনি " ভ্যাসলিন " ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এটি বর্তমানে খুবই কার্যকরী একটি ক্রিম। এটি আপনি বর্তমানে বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে ছোট টি পেয়ে যাবেন।
  • ঠোঁট ফাটা দূর করতে আরো একটি কার্যকরী ক্রিম হল , মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি আপনি বর্তমান বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
  • ঠোঁট ফাটা দূর করতে আপনি কোহিনুর কেমিক্যাল এর ফ্রূটি লিপজেল ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁট ফাটা কমাতে এটি বেশ কার্যকরী। এটির বর্তমান বাজার দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।

শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন - ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে শেষ কথা

পরিশেষে বলতে গেলে প্রিয় বন্ধুগণ আজ আমরা উপরের আর্টিকেলটি থেকে শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন - ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। আশা করছি উপরের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন - ঠোঁট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে , ঠোঁট ফাটা কমানোর ঘরোয়া উপায় , ঠোঁটের মরা চামড়া দূর করার উপায় , ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণ , ঠোঁট ফাটার ক্রিম ও দাম , বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ইতিমধ্যে জেনে গেছেন। 
এই সম্পর্কিত আরো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত স্বাস্থ্য , তথ্য প্রযুক্তি সহ সমসাময়িক সকল আপডেট নিউজ এবং ইনফরমেশন পাবলিশ করা হয়। এরকম তথ্যবহুল পোস্ট করতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url