প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩ - প্রবারণা পূর্ণিমার গুরুত্ব - প্রবারণা পূর্ণিমা ইতিহাস
প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩ - প্রবারণা পূর্ণিমার গুরুত্ব - প্রবারণা পূর্ণিমা ইতিহাস
সম্পর্কে প্রিয় পাঠকদের সামনে আজ তুলে ধরবো। আপনি কি প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩ -
প্রবারণা পূর্ণিমার গুরুত্ব - প্রবারণা পূর্ণিমা ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ,
তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন কেননা আজ আমরা এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে আলোচনা করতে
চলেছি। তাই আজকের পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের পোস্টটি না টেনে মনোযোগ
সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক , প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩
- প্রবারণা পূর্ণিমার গুরুত্ব - প্রবারণা পূর্ণিমা ইতিহাস সম্পর্কে।
প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব। দীর্ঘ ৩
মাসের বর্ষা বাস শেষে বুদ্ধ ভিক্ষুকগণ একত্রিত হয়ে এই উৎসব পালন করে। এবং
পরস্পরের কাছে নিজেদের ভুল ত্রুটি প্রকাশ করে এবং প্রায়শ্চিত্তের আহ্বান করে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে প্রবারণা পূর্ণিমা অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩ ভূমিকা
প্রবারণা পূর্নিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধর্মীয়
উৎসব। দীর্ঘ তিন মাস বর্ষাবাস শেষে বুদ্ধ ভিক্ষুকরা একত্রিত হয়ে প্রবারণা
পূর্ণিমা পালন করে। এটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।
প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩ পালিত হবে ২৮ ই অক্টোবর ।
আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩ , প্রবারণা পূর্ণিমার গুরুত্ব
, প্রবারণা পূর্ণিমার তাৎপর্য , প্রবারণা পূর্ণিমার ইতিহাস , প্রবারণ পূর্ণিমার
শুভেচ্ছা ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে । চলুন প্রিয় পাঠক দেরি না করে জেনে নেওয়া
যাক উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩
প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় উৎসব।এটি বৌদ্ধ
ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় একটি উৎসব। প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবটি আশ্বিন মাসের
পূর্ণিমা তিথিতে পালন করেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। এই উৎসবটি আশ্বিন মাসে হওয়ার
কারণে এটি অনেকের কাছে আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। চলতি বছর প্রবারণা
পূর্ণিমার ২৮ ই অক্টোবর পালিত হবে।
প্রবারণ শব্দের অভিধানিক অর্থ , নিমন্ত্রণ , অনুরোধ , মিনতি , সমাপ্তি , বর্ষাবাস
ত্যাগ , বর্ষা বাস পরিসমাপ্তি , সন্তুষ্টির বিষয় , ক্ষতিপূরণ , প্রায়শ্চিত্ত
ইত্যাদি কে বোঝায়। বর্ষাবাস পরিসমাপ্তিতে ভিক্ষুকগণ তাদের নিজের ভুল , ত্রুটি ,
দোষ , অপরাধ গুলো অপর ভিক্ষুকগণের নিকট প্রকাশ করার মাধ্যমে তার প্রায়শ্চিত্ত
করার বিধান এর আহ্বান জানাই , এবং নিজের অজান্তে কোন অপরাধ বা ভুল করে থাকলে তার
জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে। প্রবলনা পূর্ণিমা পালনের এটি হচ্ছে মূল।
প্রবারণা পূর্ণিমার গুরুত্ব
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রবারণ পূর্ণিমা অনেক গুরুত্ব বহন করে। বৌদ্ধ
ভিক্ষুকগণ বর্ষাব্রত পালন করে থাকেন , আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা এই
তিন মাস। উক্ত তিন মাস বর্ষাব্রত পালন শেষে , ভিক্ষুকগণ আশ্বিনি পূর্ণিমা তিথিতে
প্রবরণা করেন। এই দিনে ভিক্ষুকগণ পরস্পরের কাছে পূর্বে ভুল ভ্রান্তির জন্য একে
অপরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এটি করার মাধ্যমে বুদ্ধের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং
ভিক্ষু সংঘের কল্যাণ সাধিত হয়। মূলত ভিক্ষু সংঘের বর্ষাবাস পরিসমাপ্তির দিনটিকে
প্রবারণা পূর্ণিমা হিসেবে পালন করা হয়।
এই দিনের পর থেকে মাসব্যাপী কঠিন দানা অনুষ্ঠান শুরু হয় , পুরো পৃথিবী জুড়ে
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিন অতি-পবিত্র এবং গুরুত্ব বহন করে। বুদ্ধ ধর্মে
ধারাবাহিকভাবে বুদ্ধ পূর্ণিমা , আষাঢ়ী পূর্ণিমা , মধু পূর্ণিমা , প্রবারণা
পূর্ণিমা বা আশ্বিনী পূর্ণিমা এবং কঠিন দানা অনুষ্ঠান একটি সর্বজনীন উৎসবে পরিণত
হয়।
এইসব উৎসব গুলোর মধ্যে প্রবারণা পূর্ণিমা হল অন্যতম। প্রবারও না বর্তমানে শুধু
বৌদ্ধ পরীমণ্ডলে সীমাবদ্ধ নয় , বিশেষ করে স্বর্গের চুলা মনি ও ব্রহ্মলোকের
দুঃস্ব জাতিকে উদ্দেশ্য করে ফানুস উড়ানো জাতি - ধর্ম - বর্ণ নির্বিশেষে
গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। ফানস উড়ানোর তাৎপর্য হলো স্বর্গের চুলা মনি ও
ব্রহ্মলোকের দুঃস্ব জাতির উদ্দেশ্যে প্রতি পূজা করা। বর্তমানে এই অনুষ্ঠান এখন
জাতীয় পর্যায়ে পদার্পণ করেছে। উক্ত অনুষ্ঠানের ধর্মীয় সামাজিক ও জাতীয়
তাৎপর্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রবারণা পূর্ণিমার তাৎপর্য
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে প্রবলনা পূর্ণিমার তাৎপর্য অনেক। চারিত্রিক শুদ্ধিতার
জন্য প্রবারণ ভিক্ষুকদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রবরণায় ভিক্ষুকগণ একে
অপরের নিকট দোষ স্বীকার করেন , দোষ স্বীকার করার মধ্যে যে মহত্ব আছে এ শিক্ষার
মাধ্যমে তা ধারণ করা হয়। ভুল কে দৃঢ়তার সাথে স্বীকার করে সংশোধন করার
প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়াই হচ্ছে জীবনের সার্থকতা।
ভুল স্বীকার করা সকলের সাহস থাকে না , একে অপরের মাঝে ভুল স্বীকার করে অনুশাসন
করলে উভয়োর কল্যাণ হয়। নিজের মন পবিত্র হয় এবং আত্মশক্তি বৃদ্ধি পায়। আমাদেরও
প্রত্যেকের দোষ ত্রুটির জন্য পরস্পরের নিকট ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত । এতে
সুসম্পর্ক তৈরি হয় এবং মনের রাগও হিংসা দূর হয়। প্রকার ওনা পূর্ণিমার এই শিক্ষা
শুধু ভিক্ষুকদের জন্য নয় প্রত্যেকটা মানবজাতির জন্য কল্যাণকর । নিজের মনশুদ্ধির
জন্য প্রতারণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রবারণা পূর্ণিমার ইতিহাস
প্রবারনা পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পরিচিত।
যেটি আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। প্রবারণা শব্দের পালি অর্থ নিমন্ত্রণ ,
অনুরোধ , মিনতি , আহ্বান , ত্যাগ , সমাপ্তি , বর্ষাবাস পরিসমাপ্তি , বর্ষাবাস
ত্যাগ , শিষ্টাচার , তৃপ্তি , সন্তুষ্টির বিষয় , ক্ষতিপূরণ , প্রায়শ্চিত্ত
ইত্যাদি কে বোঝায়। দীর্ঘ তিন মাস বর্ষাবাস শেষে ভিক্ষুক গন প্রবারণা পূর্ণিমায়
নিজেদের দোষ ত্রুটি একে অপরের নিকট প্রকাশ করে প্রায়শ্চিত্তর আহব্বান জানাই।
আরও পড়ুনঃ ওজন কমানোর সহজ উপায় ওজন কমানোর খাবার তালিকা
বুদ্ধ ভিক্ষুকদের মতে রাজকুমার সিদ্ধার্থ অর্থাৎ গৌতম বুদ্ধ প্রবারণাপূর্নিমা
তিথিতে ভারতের সাংকাশ্য স্থানে অবতরণ করেন , অবতরণ করার পর গৌতম বুদ্ধ ,
ভিক্ষুকদের ধর্ম প্রচারের নির্দেশ দেন , মানবজাতির কল্যাণের জন্য এবং মানবজাতির
সুখ শান্তি বৃদ্ধির জন্য। প্রবারণা পূর্ণিমার দিন গৌতম বুদ্ধের দীর্ঘ তিন মাসের
বর্ষাবাসের সমাপ্তি ঘটে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতে প্রবারণা ও পূর্ণিমার এই তিথিতে গৌতম বুদ্ধ ধর্ম
প্রচারের জন্য ৬০ জন শীর্ষকে বিভিন্ন জায়গায় প্রেরণ করেন। এবং তিনি তার
শীর্ষদেরকে বলেন তোমরা মানবজাতির কল্যাণের জন্য , সুখের জন্য , শান্তির জন্য ,
চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ো এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি ছড়িয়ে দাও।
প্রবারণা পূর্ণিমার শুভেচ্ছা
প্রবারণ পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
এবারের প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩ ১০ই অক্টোবর পালিত হবে। প্রতিবছর আশ্বিন মাসের
পূর্ণিমা তিথিতে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন হয়। দীর্ঘ তিন মাসের বর্ষাবাস শেষে
বুদ্ধ ভিক্ষুকগণ একে অপরের সাথে তাদের পূর্বেকৃত দোষ ত্রুটি প্রকাশ করে এবং
প্রায়শ্চিত্তের আহবান করে। প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩ আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে
অর্থাৎ ইংরেজি ২৮ ই অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হবে। মূলত ২৭ অক্টোবর থেকেই
অনুষ্ঠানটি শুরু হয়ে যাবে , এবং ২৮ ই অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমার মূল অনুষ্ঠানটি
পালিত হবে।
প্রবারণা পূর্ণিমার ছবি
লেখক এর মতামত
পরিশেষে বলতে গেলে আজ আমরা উপরের আর্টিকেলটি থেকে জানতে পারলাম প্রবারণা পূর্ণিমা
২০২৩ , প্রবারণা পূর্ণিমার গুরুত্ব , প্রবারণা পূর্ণিমার ইতিহাস , প্রবারণা
পূর্ণিমার শুভেচ্ছা , ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত। আশা করছি আপনি উপরের আর্টিকেলটি
মনোযোগ সহকারে পড়লে প্রবারণা পূর্ণিমা ২০২৩ সহ ইত্যাদি বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পারবেন।
প্রবারণা পূর্ণিমা সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন থেকে থাকলে নিচে ইমেইলের মাধ্যমে আমাদের
সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।আমাদের ওয়েবসাইটটিতে সমসাময়িক তথ্য , তথ্যপ্রযুক্তি সহ
সকল ধরনের আপডেট নিউজ নিয়মিত পাবলিশ করা হয়। এইরকম আরো তথ্যবহুল পোস্ট নিয়মিত
পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
Thanks for your information