শীতের সকাল অনুচ্ছেদ - শীতকালের বৈশিষ্ট্য - শীতকালীন রোগ
প্রিয় পাঠক আপনি যদি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ - শীতকালের বৈশিষ্ট্য - শীতকালীন রোগ
সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে
আমরা আলোচনা করব শীতের সকাল অনুচ্ছেদ - শীতকালের বৈশিষ্ট্য - শীতকালীন রোগ গুলো
সহ আরো বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই আজকের পোস্টটি শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক শীতের সকাল অনুচ্ছেদ -
শীতকালের বৈশিষ্ট্য - শীতকালীন রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত।
শীতকাল হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম ঋতু হিসেবে পরিচিত। শীতকালে বিভিন্ন
পিঠাপুলির পাশাপাশি , বিভিন্ন শীতকালীন সবজি , ছাড়াও খেজুর রস , এবং শীতের
সকালের মৃদু মিষ্টি বাতাস মনে প্রশান্তির সৃষ্টি করে। তাই আজকে আপনাদের জন্য
আমাদের আয়োজন শীতের সকাল অনুচ্ছেদ - শীতকালের বৈশিষ্ট্য - শীতকালীন রোগ সহ আরো
বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত।
শীতের সকাল অনুচ্ছেদ - শীতকালের বৈশিষ্ট্য - শীতকালীন রোগ ভূমিকা
বাংলাদেশ হচ্ছে ছয়টি ঋতুর দেশ । আমাদের দেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে অন্যতম প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যে ঘেরা ঋতু টি হচ্ছে শীতকাল। শীতকাল মূলত হেমন্ত ঋতুর পর এবং বসন্ত ঋতুর
আগে শীতকালের আগমন ঘটে। তাই আজ আপনাদের জন্য আজকে আমাদের একজন শীতকালীন বিভিন্ন
বিষয় সম্পর্কে। আজ আমরা জানবো শীতের সকাল অনুচ্ছেদ - শীতকালের বৈশিষ্ট্য -
শীতকালীন রোগ , শীতকালে শরীর গরম রাখার উপায় এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক
রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই আজকের পোস্টটি টেনে টেনে না পড়ে শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে উক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে পারবেন।
শীতের সকাল অনুচ্ছেদ
প্রিয় পাঠক আপনি যদি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে চান , তবে আজকের
পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব শীতের সকাল
অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত। চলুন তাহলে আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে জেনে নেওয়া
যাক , শীতের সকাল অনুচ্ছেদ সম্পর্কে।
আমাদের বাংলাদেশ মূলত ছয় ঋতুর বৈচিত্রে ঘেরা একটি দেশ। আমাদের বাংলাদেশে মোট ছয়
ঋতুর মধ্যে হেমন্ত ঋতুর পর এবং বসন্ত ঋতুর আগের মাঝামাঝি অবস্থায় শীতের আগমন
ঘটে। গাছের ঝরা পাতার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে আগমন ঘটে শীতের। এরপর বসন্তের
নতুন পাতা গজিয়ে শেষ হয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সমৃদ্ধ ঋতু শীতকাল এর। শীতকাল হচ্ছে
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা অন্যরকম একটি রূপ। আর শীতের সকাল হচ্ছে প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ গুলোর একটি।
শীতের সকাল অন্যরকম একটি প্রাকৃতিক রূপ ধারণ করে , শীতের প্রথম প্রহরে মানে সকালে
কুয়াশা পরিবেশকে মনোরম করে তোলে। আস্তে আস্তে সূর্য মামার সোনালী আলো ছড়িয়ে
পড়ে কুয়াশা ভেদ করে সর্বত্র। এবং সূর্যের রুপালী আলো গাছপালা খাল বিল নদী নালা
ইত্যাদিতে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে শীতের সকাল উপভোগ করার অন্যতম
একটি স্থান। শীতের সকালে ঘাসের উপরে শিশির বিন্দু সূর্যের রুপালি আলোতে ঝলমল করতে
থাকা হীরার মত।
শীতের সকালে কুয়াশার চাদরে ঢাকা প্রকৃতিতে পাখিরাও নীড় ছেড়ে বের হয় না। নীড়ে
তারা খুনসুটি করতে থাকে , চারিদিক থেকে সরষে ফুলের হলুদ বর্ণ দেখে চোখ জুড়িয়ে
যায়। এবং সর্ষে ফুলের মিষ্টি গন্ধ চারিদিক মৌ মৌ করতে থাকে। শীতকালীন বিভিন্ন
সবজি চাষ করে কৃষক বৃন্দ , এবং সেই সবজি গাছের কচি পাতা ক্ষেত এবং মাঠের দ্বিগুণ
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে দেয। সেই সবজিতে ভরা মাঠের পর মাঠ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
শীতকালে উত্তর দিক থেকে মিষ্টি হিমশীতল বাতাস বইতে থাকে। শীতকালীন মৃত মিষ্টি
বাতাসে গাছের পাতাগুলো শির শির করে কেঁপে ওঠে।
শীতের সকালে গ্রামের বাড়িতে বা নানা বাড়িতে বিভিন্ন রকম শীতকালীন পিঠা তৈরির
ধুম পড়ে যায় যেটা শীতের সকালের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করে দেয়। শীতের সকালের
সূর্যমামার মিষ্টি রোদ পিঠে খাওয়ার অন্যরকম একটি আনন্দ। শীতের সকাল বেলা মানুষজন
লেপ কাথার মধ্যে বেশিরভাগ কাটাতে ভালবাসে। শীতের সকালের অন্যতম একটি খাবার হচ্ছে
খেজুর রস। শীতের সকালে গ্রামে খেজুর রসের মিষ্টি গন্ধে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
শীতের সকালে খেজুর রসে মুড়ি ভিজিয়ে খাওয়ার অন্যরকম একটি আনন্দ এবং ভালবাসা
প্রদান করে। শীতের সকালে খেজুর রস দিয়ে মানুষ বিভিন্ন রকমের শীতকালীন সুস্বাদু
পিঠা তৈরি করে।
শীতকালের বৈশিষ্ট্য গ্রামের তুলনায় শহরে শীতের প্রকোপ কম থাকে শহুরে জীবনে খুব
একটা পরিবর্তন দেখা যায় না শীতকালে। শহরের মানুষরা অন্য ঋতুর মতো শীতের ঋতুতেও
একই সময় ঘুম থেকে উঠে তাদের শহুরে কার্যকলাপ শুরু করে। শহরের মানুষজন শীতের
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঠিকমতো উপভোগ করতে পারে না। তবে শীত সকলের জন্য আনন্দের নয়।
গ্রাম এবং শহর উভয় জায়গাতেই শীতকালে কিছু মানুষ এর নানা রকম দুর্ভোগ তৈরি
হয়।
যেমন শহরে গরিব শ্রেণীর মানুষজন যারা কোন রকম ফুটপাতে একটু মাথা গোজার ঠাই করে
বসবাস করে তাদের জন্য শীত মোটেই আনন্দের নয়। এবং গ্রামে শীতকালে নিম্ন শ্রেণীর
মানুষদের জন্য অনেকটা কষ্টকর হয়ে যায়। শীতের সকালে কুয়াশার মাঝে এবং হার
কাপানো ঠান্ডা তে কাঁপতে কাঁপতে নাঙ্গল গরু নিয়ে পেটের চাহিদার জন্য বের হতে
হয়। সবকিছু মিলিয়ে শীতের সকালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অন্যরকম একটি স্বর্গীয়
অনুভূতি এবং সৌন্দর্য বিরাজ করে সর্বত্র।
শীতকালের বৈশিষ্ট্য
প্রিয় পাঠক আপনি যদি শীতকালের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চান , তবে সঠিক জায়গায়
এসেছেন। আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করতে
চলেছি শীতকালের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। তাই আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার
মাধ্যমে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন শীতকালের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। শীতকালের
বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানার আগে আপনি উপরের পোস্টটি থেকে জেনে নিন শীতের সকাল
অনুচ্ছেদ সম্পর্কে। তাহলে আপনি শীতের সকাল সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ হচ্ছে ঋতু প্রধান দেশ। বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু রয়েছে , তার মধ্যে শীতকাল
হচ্ছে পঞ্চম ঋতু। শীতকাল হচ্ছে বাংলা মাসের শরতের শেষের দিকে শুরু হয়। এবং পৌষ ও
মার্ক দুই মাস শীতকাল থাকে। মোট কথাই বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর মধ্যে শীতকাল হচ্ছে
অন্যতম সৌন্দর্যে ভরপুর একটি ঋতু। সাধারণত ইংরেজি মাসের অক্টোবর নভেম্বরের দিকে
শুরু হয়ে জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান থাকে। শীতকালে রাতে শিশির ফোঁটা
পড়ে , এবং সকালে যখন সূর্য তার রূপালী আলো কুয়াশাকে ভেদ করে উঁকি দেয় তখন ঘাস
এবং পাতার উপরে পড়া শিশির বিন্দু মুক্তর মত ঝলমল করতে থাকে। যেটা শীতকালের
অন্যতম সৌন্দর্যের একটি।
শীতকালে বেশিরভাগ সময় আকাশ নীল বর্ণ ধারণ করে থাকে। এবং শীতকালের সকালের মৃদু
মিষ্টি বাতাস মন মুগ্ধ করে তোলে। সকালে গাছের পাতা শুকিয়ে ঝরে পড়ে যাই। শীতকালে
বিভিন্ন রকমের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে বাড়িতে বাড়িতে। এবং শীতের সকালে খেজুর
গাছের রস মুড়ি দিয়ে খাওয়ার মজাই অন্যরকম। কালে প্রচুর পরিমাণে সবজি চাষ হয়।
শীতকালীন সবজি যেমন টমেটো , বেগুন , ফুলকপি , বাঁধাকপি ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে
ফলন হয় শীতকালে।
শীতকালীন সবজিতে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান মানুষের শরীরের জন্য বিশেষ উপকার করে
থাকে। তাই শীতকালে আমাদের শরীরের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে। শীতকালে বিকালে বা
সন্ধ্যার পর বন্ধুরা মিলে কোর্ট কেটে রেকেট খেলা , অন্যরকম একটি আনন্দ অনুভূতির
সৃষ্টি করে। শীতের মৌসুম বিশেষ করে কৃষকদের জন্য অত্যন্ত আনন্দদায়ক মৌসুম। কারণ
শীতকালে অনেক রকম ফসল ফলানো হয়। কৃষক ভাইয়েরা শীতকালীন বিভিন্ন রকম ফসল ফলিয়ে
তাদের শস্য ক্ষেত্র গুলিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে তোলে। মোট কথাই প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের অন্যতম একটি সময় হচ্ছে শীতকাল।
শীতকালীন রোগ
প্রিয় পাঠক আপনি যদি শীতকালীন রোগ সম্পর্কে জানতে চান , তবে আজকের পোস্টটি আপনার
জন্য। কেননা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করতে চলেছি শীতকালীন রোগসমূহ
সম্পর্কে। এছাড়াও আপনি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ এবং শীতকালের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে
জানতে উপরের আর্টিকেলগুলো পড়ে নিতে পারেন। চলুন তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ
সহকারে পড়ার মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক শীতকালীন রোগ গুলো কি কি এই
সম্পর্কে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মধ্যে শীতকালের এই সময়টাতে ঠান্ডা জনিত সমস্যা গুলো বেশি দেখা
দেয়। যেমন সর্দি কাশি , এজমা , জ্বর , এলার্জি ইত্যাদি রোগগুলো বেশি দেখা যায়।
শীতকালে বাতাসে ধুলাবালি থাকার কারণে , এবং ধুলোবালি নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে
প্রবেশ করার কারণে সেটি অ্যাজমার রোগীদের জন্য মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে
শিশু এবং বয়স্কদের জন্য শীতকাল একটি কঠিন সময়। শীতকালে বাচ্চা এবং বয়স্কদের
কাশি এবং ঠান্ডা জনিত সমস্যা , এবং শীতকালে এলার্জি জনিত সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
এবং এই জাতীয় সমস্যা গুলি ঠিকমতো সনাক্ত এবং চিকিৎসা করা না হলে নিউমোনিয়া সহ
জটিল রোগ ধারণ করতে পারে।
শীতকালীন কিছু রোগের ব্যাপারে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
- এলার্জি জনিত সমস্যা।
- জ্বর সর্দি কাশি।
- নাক কান গলার বিভিন্ন অসুখ।
- শরীরে বিভিন্ন জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা এবং বাতব্যথা।
- বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ।
- এজমা জনিত বিভিন্ন সমস্যা।
- নিউমোনিয়া জাতীয় রোগ।
- মাংসপেশিতে ব্যথা।
- শুষ্ক এবং শুকনো কাশি।
- রায়নাইটিস ও সাইনোসাইটিস।
- কানের ইনফেকশন জনিত সমস্যা।
- ফুসফুসের সংক্রমণ।
শীতকালে শরীর গরম রাখার উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি কি শীতকালে শরীর গরম রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তবে
আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি
বিস্তারিত জানতে পারবেন , শীতকালে শরীর গরম রাখার উপায় গুলো সম্পর্কে। চলুন
তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক শীতকালে শরীর গরম রাখার বেশ কিছু প্রাকৃতিক
উপায় গুলো সম্পর্কে।
- ডিম। শীতকালে শরীর প্রাকৃতিকভাবে গরম রাখতে ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি ডিমের রয়েছে পাঁচ গ্রাম প্রোটিন। ডিম বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। দিনে প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ , ভিটামিন বি , ডি , কে , ফসফরাস এবং জিংক।
- আদা। শীতকালে শরীর গরম রাখতে আদা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আদা আমাদের শরীরের হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে। এবং আমাদের শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও আদা আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে। এতে করে শরীরের ঠান্ডা দূর করে। এবং শীতকালে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। আপনি আদার ছোট টুকরো কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা চা এবং সুপে আদা খেতে পারন।
- গরম পানি। গরম পানি শরীরের ঠান্ডা কমানোর জন্য বেশ কার্যকরী। শরীরে অতিরিক্ত শীত অনুভব হলে চা , কফি ইত্যাদি গরম পানীয় পান করতে পারেন। এতে করে আপনার শীতকালে শরীর গরম রাখতে বিশেষ সাহায্য করবে।
- মধু। শীতকালে শরীর গরম রাখতে মধু বেশ কার্যকরী। এছাড়াও শীতকালীন বিভিন্ন রোগ সর্দি কাশি ইত্যাদির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে থাকে মধু। শীতকালে শরীর গরম রাখতে আপনি নিয়মিত সকালে এক চামচ মধু খেতে পারেন।
- মিষ্টি আলু। মূলত শীতকালীন একটি সবজি হচ্ছে মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ভিটামিন সি ক্যালসিয়াম আয়রন ইত্যাদি মজুদ থাকে। সেই উপাদানগুলি সে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি শীতকালে শরীর গরম রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- শুকনো ফল। আপনি শীতকালে শরীর গরম রাখতে বিভিন্ন রকম শুকনো ফল খেতে পারেন। যেমন খেজুর , কিসমিস ইত্যাদি। শুকনো ফলে থাকা বিভিন্ন উপাদান আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি। শরীর গরম রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন ক...
- পেঁয়াজ। শীতকালে শরীর গরম রাখতে আপনি সবজিতে এবং খাবারে বেশি বেশি পেঁয়াজ খেতে পারেন। পেয়াজ শীতকালীন বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি শরীর গরম রাখতে বিশেষ কার্যকরী একটি উপাদান।
- বাদাম। শীতকালে শরীর গরম রাখতে বাদাম অন্যতম একটি খাবার হতে পারে। বিভিন্ন জাতের বাদাম যেমন চীনা বাদাম , কাঠ বাদাম , কাজুবাদাম প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ভাইবার কোলেস্টেরল থাকার কারণে। শীতকালীন বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং শরীর গরম রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার উপায়
প্রিয় পাঠক আপনি কি শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে চাচ্ছেন । তবে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে
বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রক্ষার
উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক আজকের
আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত।
শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার উপায় সমূহ নিচে আলোচনা করা হলো।
- পানি পান। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হচ্ছে পানি পান করা। অতিরিক্ত গরমের কারণে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘাম বের হয়ে যাই। যার ফলে শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা কম বেশি হতে থাকে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন এতে করে আপনার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে।
- বাদাম। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে আপনি বিভিন্ন রকমের বাদাম খেতে পারেন। যেমন কাঠবাদাম , চিনা বাদাম , কাজুবাদাম , পেস্তা বাদাম , আখরোট বাদাম ইত্যাদি খাওয়ার ফলে। বাদামে থাকা উপাদান শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ কার্যকরী।
- মৌসুমী ফল। আপনি শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন মৌসুমী ফল খেতে পারেন। মৌসুমী ফলে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- ডিম এবং মুরগির মাংস । ডিম এবং মুরগির মাংস থাকা প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম প্রোটিন আমাদের শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ শরীরের তাপমাত্রা সবাই করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
- পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। আপনি কোন ভারী কাজ শেষে। অথবা কোন বেশি খাটনি হওয়া কাজ করার পর শরীরে বেশি গরম লাগলে। আপনি ভাব বালতি পানিতে পনেরো থেকে বিশ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এতে করে আপনার শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকবে।
- মসলা। আপনি শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে বিভিন্ন মসলা যেমন গোলমরিচ , রসুন , রিয়াজ , আদা ইত্যাদি খেতে পারেন। এই জাতীয় মসলায় থাকা বিশেষ উপাদান গুলি শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ কার্যকরী।
শীতের সকাল অনুচ্ছেদ - শীতকালের বৈশিষ্ট্য - শীতকালীন রোগ শেষ কথা
পরিশেষে বলতে গেলে আজ আমরা উপরের আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিত জানতে পারলাম ,শীতের
সকাল অনুচ্ছেদ - শীতকালের বৈশিষ্ট্য - শীতকালীন রোগ , শীতকালে শরীর গরম রাখার
উপায় , এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার উপায় সম্পর্কে।
আশা করছি উপরের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি আজকের আলোচ্য বিষয়
সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত জেনে গেছেন। শীতজনিত আরো কোন জিজ্ঞাসা থাকলে
আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আমাদের ওয়েবসাইটটিতে স্বাস্থ্য , তথ্য
প্রযুক্তি , আপডেট নিউজ সহ সমসাময়িক সকল ধরনের তথ্য এবং ইনফরমেশন নিয়মিত পাবলিশ
করা হয়। এইরকম তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
Tnx for your information